Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পেনশনের জন্য মাকে খুনের চেষ্টা,অভিযুক্ত ছেলে ও বউমা

পেনশনের জন্য মাকে খুনের চেষ্টা,অভিযুক্ত ছেলে ও বউমা

পেনশনের টাকা নেওয়ার জন্য মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আগে একাধিকবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টাও করেছে অভিযুক্তরা। ছেলে ও বউমার অত্যাচারের হাত থে…





পেনশনের জন্য মাকে খুনের চেষ্টা,অভিযুক্ত ছেলে ও বউমা



পেনশনের টাকা নেওয়ার জন্য মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আগে একাধিকবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টাও করেছে অভিযুক্তরা। ছেলে ও বউমার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে শেষমেশ পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন ৬০ বছরের সুমিত্রা দাস। হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বনবিষ্ণুপুরের বাসিন্দা তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছেলে তাপস দাস ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দাসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি মাহিউল ইসলাম। বাড়িতে না থাকায় ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য মেলেনি তাপসের। তবে বউমা প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, 'কিছুই ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের নামে।' স্থানীয়রা অবশ্য জানিয়েছেন, প্রায়ই মাকে মারধরের আওয়াজ পান পড়শিরা। প্রতিবাদ করতে গেলে জোটে গালিগালাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমিত্রাদেবীর দুই ছেলে ও ৩ মেয়ে। স্বামী ও বড় ছেলে বেঁচে নেই।ছোট ছেলে তাপস বিয়ে করে আলাদা থাকেন।মেয়েদেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী ভানুলাল বন্দরের কর্মী ছিলেন। তাঁর পেনসনই এখন ভরসা সুমিত্রাদেবীর। সেই টাকাতেই চলে তাঁর আর বিধবা পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনির সংসার। সুমিত্রাদেবী বলেন, ' মৃত্যুর আগে স্বামী দুই ছেলের মধ্যে যাবতীয় সম্পত্তি সমানভাবে ভাগ করে দিয়ে যান।পরে সঞ্চয়ের ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করি আমি। আমার ভরণপোষণের খরচও দেয় না ছোট ছেলে। তারপরও পেনশনের টাকা চেয়ে আমাকে প্রায়ই মারধর সে ও তার স্ত্রী। তাতে মদত দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।' জানা গেছে, গত ১ আগস্টও এ কারণে সুমিত্রাদেবীর ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত ছেলে ও বউমা। বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁকে। পড়শিরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। হাসপাতাল থেকে ফিরে পুলিশে অভিযোগ জানান সুমিত্রাদেবী। বাড়িতে ফিরেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করে আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।

No comments