Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া শিল্প কাঠামো নজরদারি কমিটির হাজিরায় দাবি সনদে সই

হলদিয়া শিল্প কাঠামো নজরদারি কমিটির হাজিরায় দাবি সনদে সই

শ্রম দফতরের তৈরি করা কমিটির উপস্থিতিতে হলদিয়ার এক বেসরকারি শিল্প সংস্থায় বৃহম্পতিবার দাবি সনদ স্বাক্ষরিত হল। ওই সংক্রান্ত আলোচনায় হাজির থাকলেন শ্রমিকেরাও।গত ২৭ জুন শ্রম …

 




হলদিয়া শিল্প কাঠামো নজরদারি কমিটির হাজিরায় দাবি সনদে সই



শ্রম দফতরের তৈরি করা কমিটির উপস্থিতিতে হলদিয়ার এক বেসরকারি শিল্প সংস্থায় বৃহম্পতিবার দাবি সনদ স্বাক্ষরিত হল। ওই সংক্রান্ত আলোচনায় হাজির থাকলেন শ্রমিকেরাও।

গত ২৭ জুন শ্রম দফতরের একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলিতে শ্রমিকদের দাবি সনদ ও নিয়োগ পর্যবেক্ষণ করবেন জেলাশাসকের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি। সেই মতো এ দিন বিকাল ৩টের সময় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভবনের কনফারেন্স হলে একটি কারখানার দাবি সনদ তৈরির ব্যাপারে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি জ্যোতির্ময় কর, কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের একাংশ ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। প্রায় চার ঘণ্টা চলে বৈঠক। সেখানে শ্রমিকরা তাঁদের দাবিদাওয়া জানায় কমিটির কাছে। কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে সে সব পূরণে চলে দড়ি টানাটানি। শেষে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সম্মত্তিতে চার বছরের জন্য দাবি সনদে .

স্বাক্ষর করা হয়। দাবি সনদের স্থির হয় যে, চার বছরে শ্রমিকদের ৫,৫০০ টাকা ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হবে। প্রথম বছর বৃদ্ধি হবে দু'হাজার টাকা, দ্বিতীয় বছরে দেড় হাজার টাকা, তৃতীয় বছরে এক হাজার টাকা এবং চতুর্থ বছরে এক হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ওই সংস্থায় দু'বছর ধরে বকেয়া ছিল দাবি সনদ। এ দিন সেই দাবি সনদের চুক্তিপত্রে কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের একটা অংশ স্বাক্ষর করে। চুক্তিপত্র জেলাশাসকের উপস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, “এদিন সুস্থ পরিবেশে দাবি সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে, কারখানা বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিক বাঁচলে কারখানা। বাঁচবে। কারখানাতে উৎপাদন ব্যাহত করা যাবে না। শিল্প বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।”

দাবি সনদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি শ্রমিক মহল। তাদের দাবি, এত দিন শ্রমিক সংগঠনের 'দাদা'রাই করতেন দাবি সনদ। কিন্তু এবার তাঁরা নিজেরাই অংশগ্রহণ করে দাবি সনদ স্থির করেছেন। শ্রমিক মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “এ দিন আমাদের খুব খুশির দিন। দাবি সনদের আলোচনাতে অংশগ্রহণ

করতে পেরে খুশি। এই দাবি সনদের লুকোনোর কিছু নেই।" শিল্প সংস্থার সিইও বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “নতুন দাবি সনদ চুক্তি ভালই হয়েছে। চুক্তিপত্র মতো শ্রমিকেরা কাজ করলে কারখানারও ভাল হবে।”

শ্রমিকেরা খুশি হলেও বাম শ্রমিক সংগঠন 'সিট'র জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অচিন্তা শাসমল বলছেন, “প্রশাসনিক আধিকারিকদের শ্রমিকদের মাথার উপর বসিয়ে তাঁদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।” তবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন 'আইএনটিটিইউসি'র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শিবনাথ সরকারের কথায়, “বাম আমলে ঠাণ্ডা ওই কারখানার একঘরে বসে নেতারা দাবি সনদ স্বাক্ষরিত করতেন। বৃহস্পতিবার শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্ত থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন শিল্প শহরে বামেদের কোনও অস্তিত্ব নেই।”

No comments