Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুলিসে অভিযোগ হতেই বেপাত্তা স্কুল চাকরি পাইয়ে দেওয়া মহিষাদলের ‘’

পুলিসে অভিযোগ হতেই বেপাত্তা স্কুল চাকরি পাইয়ে দেওয়া মহিষাদলের  প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল মহিষাদলের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও…

 



পুলিসে অভিযোগ হতেই বেপাত্তা স্কুল চাকরি পাইয়ে দেওয়া মহিষাদলের 

 প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল মহিষাদলের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাইমারি বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের নাম করে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম দেবপ্রসাদ সেনী। তিনি মহিষাদলের কাপাস এড়িয়ার বাসিন্দা। এলাকায় ওই ব্যক্তি 'লুড়কা' নামে পরিচিত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহিষাদল থানায় অভিযোগ করেছেন প্রতারিতরা। তবে শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির মোবাইলে ফোন করলেই 'নট রিচেবল' বলছে। বাড়িতে গেলে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডে বলেন, মহিষাদলের দেবপ্রসাদ সেনীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিস প্রতারিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।


অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে দেবপ্রসাদ সেনী মহিষাদলের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন প্রাইমারিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে। এজন্য ওই ব্যক্তি কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কখনও মানিক ভট্টাচার্যের নাম ব্যবহার করতেন। জানা গিয়েছে, মহিষাদল এলাকার বেশ কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরিও করে


দিয়েছিলেন। শুধু মহিষাদল নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। দেবপ্রসাদ সেনীর একটি বক্তব্য ভাইরাল .. হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করছেন, বিভিন্ন জেলায় তিনি ২০-২৫ জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। নিজের সোর্সের মাধ্যমে তিনি চাকরি পাইয়ে দিতেন। সেই সোর্স কারা সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি প্রাইমারিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একজনের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেলেন সে কথা স্বীকারও করেছেন ওই ভাইরাল ভিডিওতে। এনিয়ে থানায় একাধিকবার পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সে কথাও নিজের মুখে স্বীকার করেছেন ওই ভিডিওতে।


জানা গিয়েছে, অনেকে চাকরি পেয়েছে এই বিশ্বাস থেকে কেউ কেউ মেয়ে, কেউ নিজের আত্মীয়ের চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন দেবপ্রসাদকে। কিন্তু চার-পাঁচবছর কেটে গেলেও চাকরি হয়নি। তখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁদের নানাভাবে ভুল বুঝিয়েছেন। কাউকে আবার টাকা ফেরতের জন্য দেওয়া চেক বাউন্স করছে বলে অভিযোগ। কাউকে আবার হুমকিও দিয়েছেন। দেবপ্রসাদ। স্থানীয় স্বপনকুমার দাস ও নীলোৎপল গিরি অভিযোগ করেন, দেবপ্রসাদ চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু চাকরি হয়নি। কয়েকদিন আগে ওর বাড়ি যেতে ফেরত দেবেন।


জানায়, পার্থবাবু ছাড়া পেলেই টাকা ফেরত দেব। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেবপ্রসাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে।


মহিষাদলের রঙ্গীবসান গ্রামের বাসিন্দা বিমল মাইতি বলেন, আমার এক বন্ধুর স্ত্রীর চাকরির জন্য দেবপ্রসাদকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। মাত্র ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত দেয়নি। ২০১৭ সালে ওই টাকা দিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে চাকরি হওয়ার কথা ছিল। পরে চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ফেরত দেয়নি। দেবপ্রসাদ রঙ্গীবসানে একটি জমি কিনে রাস্তার পাশে চারতলা ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করেছিল। বহু টাকায় ওই বাড়ি বিক্রি হয়। বিমলবাবুর দাবি, বাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে দেবপ্রসাদ সমস্যায় পড়ে তাঁর দ্বারস্থ হন। কারণ তিনি গ্রাম কমিটির সম্পাদক। সমস্যা মিটিয়ে দিলে টাকা ফেরত দেবে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত পাননি। মহিষাদলের মধ্যহিংলির বাসিন্দা কালীশঙ্কর ভৌমিক দেবপ্রসাদের সাক্ষরিত একটি মুচলেকা চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁর দাবি, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে দু'দফায় তিনি তাঁর স্ত্রীর চাকরির জন্য ৪ লক্ষ টাকা দেন দেবপ্রসাদকে। সেইসময় একটি মুচলেকায় দেবপ্রসাদ লেখেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরি করে দিতে না পারলে এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দিবেন।

No comments