Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল মহিষাদল ব্লকের বিডিও

নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল মহিষাদল ব্লকের বিডিও 
 ৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার দুপুরে মহিষাদল ব্লকের বাড় চাঁদপাত্র গ্রামের লক্ষণ কয়াল- এরএকটি নাবালিকা মেয়েকে  তাঁর মামার বাড়ি হলদিয়ার ঝিকুরখালীতে বিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। হলদিয়…

 



 নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল মহিষাদল ব্লকের বিডিও 


 ৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার দুপুরে মহিষাদল ব্লকের বাড় চাঁদপাত্র গ্রামের লক্ষণ কয়াল- এরএকটি নাবালিকা মেয়েকে  তাঁর মামার বাড়ি হলদিয়ার ঝিকুরখালীতে বিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। হলদিয়া ঝিকুড়খালী ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুহৃদ বলিদা র ছেলে কৌশিক বলিদার সাথে তাদের বাড়ির পাশে শীতলা মন্দিরে বিবাহ হওয়ার কথাবার্তা ঠিকঠাক ছিল।এই সংবাদটি  এলাকার আশা কর্মী জানতে পেরে খবর দেন মহিষাদল ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি মন্ডলকে।  তরুণ বাবু মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশচন্দ্র মন্ডল এবং দুর্গাচক থানার অফিসার ইনচার্জ কে জানায়। হলদিয়া নিউজ টুডে পত্রিকার সাংবাদিক আজ রাত্রিতে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে ।এই খবর পেয়ে হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে কে ফোনে জানান। এদিকে মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল নাবালিকার বিয়ের সংবাদ পেয়ে হলদিয়ার এস.ডি.ও কে ফোন মারফৎ জানান। নাবালিকাটি গেঁওখালি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যরত ছাত্রী বলে জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্টু কুমার বেরা ।তাঁর বর্তমান বয়স ১৬ বছর । সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী তাঁর বিবাহ হওয়ার বয়স এখনো পর্যন্ত হয় না। জোর জবরদস্তি করে তাঁর বাবা তাকে তার মতের বিরুদ্ধে বিবাহ দিচ্ছে বলে জানান নাবালিকা ছাত্রীটি। বিবাহের সংবাদ পেয়েই দুর্গাচক থানার অফিসার ইনচার্জ নাবালিকার বাবা ও নাবালিকাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় বসে একটা মুচলেখা লিখে দেন মেয়ের বাবা লক্ষণবাবু । তাঁর নাবালিকা মেয়ে বর্তমানে পড়াশুনা করবে ।এখন বিবাহ করবে না। লক্ষণবাবু জানান, বাড় চাঁদপাত্র গ্রামের ৩০ বছরের একটি যুবক তাঁর মেয়েকে প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে এবং স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভাষায় উত্তপ্ত করে ।এবং তাঁকে বিবাহ না করলে খুন করারও হুমকি দেয় সেই যুবকটি। ভয়ে তাঁর মেয়েকে ঝিকুড়খালি মামার বাড়িতে রেখেছিল। বাড়ির পাশে যুবকের ভয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার জন্য লক্ষণবাবু এই পথ বেছে নিয়েছিলেন।

No comments