হলদিয়ার ডঃ বিধান চন্দ্র রায় হাসপাতালের প্রথম সাফল্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সাহায্যে কোমরের অপারেশন হল পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধের ,দিন দশেক আগে ষাঁড়ের শিং-এর গুঁতোয় কোমর ভেঙে গিয়েছিল হলদিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাঞ্যাচ…
হলদিয়ার ডঃ বিধান চন্দ্র রায় হাসপাতালের প্রথম সাফল্য
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সাহায্যে কোমরের অপারেশন হল পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধের ,দিন দশেক আগে ষাঁড়ের শিং-এর গুঁতোয় কোমর ভেঙে গিয়েছিল হলদিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাঞ্যাচক এলাকার বাসিন্দা বাগাম্বর মাইতির। পঁয়ষট্টি বছরের ওই বৃদ্ধের বাঁদিকের কোমর ভেঙে গিয়েছিল,হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের সফল অপারেশনে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দু-ঘণ্টার অপারেশনে বৃদ্ধের ভাঙা কোমর জোড়া লাগালেন হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনা খরচে এই অপারেশন হয়েছে। হলদিয়ায় এই ধরনের জটিল অপারেশন প্রথম বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পায়ের সঙ্গে একটি লম্বা স্টেপ লাগানো হয়েছে।
এদিন হলদিয়া বিসিরায় হাসপাতালের অর্থোপেডিক সেন্টারের তিন নম্বর অপারেশন থিয়েটার রুমে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর বাগাম্বর বাবু স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা বলতে পারছেন।
ওই বৃদ্ধের বাড়ির লোকজন জানান গত ৯ জুলাই ভ্যানরিক্সা চালিয়ে বাড়ি ফিরে বাড়ির কাছে একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন।চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই ষাঁড়ের শিং-এর গুঁতোয় এমন অঘটন ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকার লোকজন বৃদ্ধ কে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তিনি কোমরের এক্সরে করতে বলেন। তারপর স্থানীয় বিসিরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ বৃদ্ধের কোমরের জোড়া লাগানোর পর চিকিৎসক সৌম্য ঘোষ জানিয়েছেন উনি আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই উঠে দাঁড়াতে পারবেন।এবং এক মাসের মধ্যে উনি হাঁটাচলা করতে পারবেন।বৃদ্ধের ছেলে খোকন মাইতি বলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে বাবার এতো বড় অপারেশন করা সম্ভব হতো না, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে অনেক ধন্যবাদ জানাই এই কার্ড চালু করার জন্য।
No comments