হলদিয়ার এক কারখানায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ
হলদিয়ার একটি নামী বেসরকারি সংস্থার ব্যাটারি কারখানায় চাকরি দেওয়ার নামে সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। চাকরির আশায় প্রতারকের ফাঁসে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে…
হলদিয়ার এক কারখানায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ
হলদিয়ার একটি নামী বেসরকারি সংস্থার ব্যাটারি কারখানায় চাকরি দেওয়ার নামে সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। চাকরির আশায় প্রতারকের ফাঁসে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত অবস্থা হলদিয়ার এক কারখানা শ্রমিক সহ কয়েকজন তরুণের।
হলদিয়ার একটি ভোলাতে সংস্থায় সামান্য জুরির শ্রমিক। ২০১৯ সালে নিজের ভাইপো সহ কয়েকজন আত্মীয়ের চাকরির আশায় সুতাহাটার দুই ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছেন দাবি করেছেন। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও ঢাকরি না পেয়ে শেষমেশ সুতাহাটা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতরা। ওই ব্যাটারি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে একটি প্রতারণা চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
হলদিয়ার বাড়বাসুদেবপুরের চকলালপুর এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ জানা হলদিয়ার সিটি সেন্টারে একটি ভোজ্যতেল সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে ওই ব্যাটারি কারখানায় তাঁর ভাইপো আকাশ জানার চাকরির জন্য সুতাহাটার পার্বতীপুরের এক
ব্যক্তিকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা দেন। সুতাহাটা সিনেমা হলের কাছে একটি বাড়িতে গিয়ে তিনি ও তাঁর আর এক ভাইপো পলাশ জানার উপস্থিতিতে ওই টাকা দিয়েছিলেন। ওই টাকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় আর এক ব্যক্তি ওই কারখানায় চাকরির নাম করে গোবিন্দবাবুকে ফোন করে। ওই ব্যক্তি গোবিন্দবাবুকে নতুন টোপ দেয়। সে জানায়, ব্যাটারি কারখানায় সে সরাসরি চাকরি করে দেবে। স্থায়ী কাজের রেট ৪ লক্ষ টাকা এবং অস্থায়ী কাজের রেট ৩ লক্ষ টাকা। গোবিন্দবাবু তখন তাঁর তিন চারজন আত্মীয়কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশায় যোগাযোগ করেন। আত্মীয়দের কারও বাড়ি খেজুরি, কারও বাড়ি সুতাহাটা।
দ্বিতীয় ব্যক্তিকে হোয়াটঅ্যাপে গোবিন্দবাবুর আত্মীয়দের বায়োডাটা পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি চাকরিপ্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য বায়োডাটার উপর সংশ্লিষ্ট
ব্যাটারি সংস্থার স্ট্যাম্প মেরে 'রিসিভ' বলে লিখে দেয়। সেই কপি পাঠিয়ে দেয় হোয়াটসঅ্যাপে। একইসঙ্গে মেডিক্যাল টেস্ট হলে ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হবে বলে জানায়। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর - দুর্গাচকে এইচপিএল লিঙ্ক রোডে একটি বেসরকারি ল্যাবে মেডিকেল - টেস্ট হয়। গোবিন্দবাবু বলেন,
↑ মেডিক্যাল টেস্ট হওয়ায় আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে চাকরি হবে। তারপর কয়েক দফায় ওই ব্যক্তির ■ ভাইকে ৯ লক্ষ টাকা দিই। সেইসময় । ওঁর ভাই ওই ব্যাটারি সংস্থায় একটি ল পোশাকের টেন্ডারে জোর করে অংশ নিতে বলে।
সেখানে আরও সাড়ে ৫ লক্ষ ■ টাকা জমা দিতে হয়। ওই ঘটনার পর ব্র থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তি এবং ল তার ভাই কারও নাগাল মিলছে না। সবমিলিয়ে আমাদের সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে। আমার এক কাকিমার 1 জনা ৭ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছি।
গত ৩০ জুন এইমর্মে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুতাহাটা থানার ওসি বলেন, র অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু এবং মোবাইল নম্বরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
No comments