রথ যাত্রার পূণ্য তিথিতে খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সূচনা, মায়ের আগমনের দিন গোনা শুরু
রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে দূর্গা মায়ের আগমনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলো।এই বিশেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ম…
রথ যাত্রার পূণ্য তিথিতে খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সূচনা, মায়ের আগমনের দিন গোনা শুরু
রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে দূর্গা মায়ের আগমনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলো।এই বিশেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় মায়ের আগমনের প্রস্তুতির কাজ।একদিকে রথের রশিতে টান অন্যদিকে পূজার্চনা মধ্যদিয়ে
শুরু হয় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। আর ৯০ দিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব । এদিন খুঁটি পুজোর মাধ্যমেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। গত কয়েক বছর কোভিডের কারনে জাকজমক করে খুঁটি পুজো উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।এবছর কিছুট কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায়।জাঁকজমক করে খুঁটি পুজো করলো মহিষাদল যুব সাংস্কৃতিক সংস্থা ( মাইকো)। বাদ্যযন্ত্র সহকারে নিয়ম মেনেই খুঁটি পুজো করা হয়। খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মহিষাদলের বিধায়ক তথা ক্লাবের পুজো কমিটির সভাপতি তিলক কুমার চক্রবর্তী, বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল, মহিষাদল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার প্রলয় কুমার চন্দ্র, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মন্ডপ শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা সহ অন্যান্যরা।বর্তমান সময়ে খুঁটি পুজোর ট্রেন্ড শহরের পাশাপাশি গ্রাম গঞ্জেও শুরু হয়েছে। মহিষাদল যুব সাংস্কৃতিক সংস্থা ( মাইকো) সংস্থা এবছর ৪৬ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবছর মন্ডপ সজ্জার দায়িত্ব পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মন্ডপ শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। শিল্পী জানান, গ্রামের মানুষের উপযোগী রাজস্থানি মন্দিরের আদলে মন্ডপটি নির্মান করা হবে। অন্ধকার সরিয়ে আলো ফুটুক এমনই বার্তা তুলে ধরা হবে মন্ডপ সজ্জায়।
এক সময় পুজো প্যান্ডেল মানে ছিল বাঁশ ও রঙিন কাপড়ের তৈরি। ধীরে ধীরে সেই বাঁশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে থার্মোকল, চট, প্লাস্টিক, কাঠ, পাট প্লাস্টার অফ প্যারিস, সিমেন্ট আরও কত রকমারি সামগ্রী। কলকাতার হেভিওয়েট পুজো প্যান্ডেলগুলোর পাশাপাশি, ছোটখাটো প্যান্ডেলেও থাকে থিমের নয়া চমক৷ যত দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে খুঁটি পুজোর চাকচিক্য। আগের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে দেখা যেত তারকা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খুঁটি পুজোর দিন থেকে বিভিন্ন তাবড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে বসে আমন্ত্রিত তারকাদের হাট।
মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক তথা মহিষাদল যুব সাংস্কৃতিক সংস্থা ( মাইকো) সংস্থার পুজো কমিটির সভাপতি তিলক কুমার চক্রবর্তী জানান, গত দুবছর করোনার কারনে সেইভাবে পুজোর আড়ম্বর করা যায়নি। এবছর যাতে দর্শনার্থীরা আনন্দ করতে পারে তার জন্য সুন্দর মন্ডপ, প্রতিমা, আলোক সজ্জা সহ মনোরম পরিবেশ তোলার চেস্টা করা হচ্ছে। তাই এবছর আমরা মন্ডপ সজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মন্ডপ শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলাকে। আমাদের আশা উনি উনার তুলির টানে সুন্দর মন্ডপ গড়ে তুলবেন। সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনেই আমরা পুজো করবো। আমাদের আশা আমাদের পুজোয় লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের সমাগম যেমন ঘটবে তেমনি জেলায় একটি বিশেষ স্থান দখল করবে মহিষাদল যুব সাংস্কৃতিক সংস্থা।।
No comments