Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে এই প্রথম বার্জে ন্যাপথা রপ্তানি শুরু হল বাংলাদেশে

হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে এই প্রথম বার্জে ন্যাপথা রপ্তানি শুরু হল বাংলাদেশে
হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে এই প্রথম বার্জে ন্যাপথা রপ্তানি শুরু হল বাংলাদেশে। রবিবার প্রায় ২০০০ টন ন্যাপথা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে রওনা দিল ওটি সা…

 


হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে এই প্রথম বার্জে ন্যাপথা রপ্তানি শুরু হল বাংলাদেশে


হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে এই প্রথম বার্জে ন্যাপথা রপ্তানি শুরু হল বাংলাদেশে। রবিবার প্রায় ২০০০ টন ন্যাপথা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে রওনা দিল ওটি সাংহাই-৮ নামে একটি বার্জ। এদিন দুপুর ১টা ১০মিনিটে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্জের যাত্রা শুরু করান বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা এবং আইওসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ। কম খরচে আমদানির সুবিধার জন্য আইওসি থেকে ন্যাপথা সহ অন্যান্য পেট্রপণ্য কিনে নদীপথে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের শিল্প সংস্থাগুলি। এজন্য হলদিয়া বন্দর ও প্রোটোকল রুট ব্যবহৃত হবে। এদিন তার সূচনা হল বলে জানান শিল্পকর্তারা। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে চীনের নয়া আগ্রাসন নীতি ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে হলদিয়ার শিল্পমহল। 
বন্দর ও আইওসি সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ১৮কোটি টাকা মূল্যের ন্যাপথা রপ্তানি করছে বাংলাদেশের অ্যাকোয়া রিফাইনারিকে। ঢাকা থেকে ১৬কিলোমিটার দূরে নরসিংডি জেলায় শীতলাক্ষ নদীর তীরে ২০একর জমির উপর আমেরিকান প্রযুক্তিতে গড়ে উঠেছে ওই রিফাইনারি। ওই সংস্থাটি ন্যাচারাল গ্যাস ও ন্যাপথা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০০ ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল সহ অন্যান্য পেট্রপণ্য তৈরি করে। প্রোটোকল রুট দিয়ে বার্জটি নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে এই পণ্য যাবে অ্যাকোয়া রিফাইনারিতে। বিদেশ থেকে পেট্রপণ্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বা মঙ্গলা বন্দর থেকে ওই দেশের উত্তরাংশে নিয়ে যেতে খরচ বেশি হয়। সেজন্য বাংলাদেশের খুলনা সহ উত্তরের জেলাগুলি হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে বার্জে পণ্য আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। 
হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগে প্রোটোকল রুটের কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে। হলদিয়া বন্দর ও শিল্প সংস্থাগুলির সামনে বাড়তি বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গত ১৬ফেব্রুয়ারি প্রোটোকল রুট দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে অসমের পাণ্ডুতে বার্জে করে স্টিলপণ্য পরিবহণের সূচনা করে এই রুট নিয়মিত ব্যবহারে গুরুত্ব দেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দিনে এই রুটে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে হলদিয়ায় প্রায় ৫০০কোটি টাকা খরচে মাল্টিমোডাল হাব ও জেটি তৈরি হয়েছে। এছাড়া বন্দরের জেটিও রয়েছে। প্রোটোকল রুট ও অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীতে জাতীয় জলপথ ২রুট ব্যবহার করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বড় রিফাইনারিগুলিতে ক্রুড অয়েল ও ন্যাপথা পাঠানোর কথা চলছে। অসমের একটি পেট্রকেম সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়েছে বন্দরের। 
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৩.৮মিলিয়ন টন বা ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়। শুধু হলদিয়া থেকেই ১.৯মিলিয়ন টন বা ১৯লক্ষ টন পণ্য রপ্তানি হয়। আইওসি থেকে পেট্রপণ্য রপ্তানি নিয়মিত শুরু হলে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি ৪মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আইওসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর বলেন, হলদিয়া থেকে ন্যাপথা রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে হলদিয়া রিফাইনারি নতুন সম্পর্ক তৈরি হল। ন্যাপথা ছাড়াও বাংলাদেশে হাইস্পিড ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, সালফার, পেটকোক প্রভৃতির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনে এই পণ্যগুলিও বার্জে রপ্তানির সম্ভবনা তৈরি হল। নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে ২-২.৫হাজার টনের একটি করে বার্জ ন্যাপথা রপ্তানি করা হবে। এতদিন পারাদ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইওসির ডিজেল আমদানি করত। এবার হলদিয়ার সঙ্গে নয়া সম্পর্কের ফলে হলদিয়া থেকেও ডিজেলের মতো পেট্রপণ্য রপ্তানি হবে। 

No comments