এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ শিল্পাঞ্চলে কর্মী নিয়োগে
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এবার হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলিতে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগে দুর্নীতি ও অসচ্ছ্বতা ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কারখানায় নিয়োগ ও বেতনচুক্ত…
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ শিল্পাঞ্চলে কর্মী নিয়োগে
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এবার হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলিতে নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগে দুর্নীতি ও অসচ্ছ্বতা ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। কারখানায় নিয়োগ ও বেতনচুক্তি নিয়ে শ্রমদপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি কাটাতে মঙ্গলবার হলদিয়ায় শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে একথা জানিয়েছে বিশেষ নজরদারি কমিটি। তাদের বক্তব্য, শ্রম আইন সঠিকভাবে মেনে কারখানাগুলিতে শ্রমিক, কর্মচারী নিয়োগ বা বেতনচুক্তি হচ্ছে কি না, মূলত সেই বিষয়টি সরকারিভাবে দেখার জন্যই শ্রমদপ্তরের এই নির্দেশিকা। এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নিয়োগ হলে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মপ্রার্থী পেতে সুবিধা হবে ও কারখানার উৎপাদন উৎকর্ষতা বাড়বে। জেলাশাসকের নেতৃত্বে এদিনই কমিটির কর্মপদ্ধতি ঠিক করার জন্য বৈঠক হয় হলদিয়া এসডিও অফিসে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ১২সদস্যের এই কমিটি অ্যাকশন প্ল্যান ঠিক করে কাজ শুরু করবে বলে জানান জেলাশাসক তথা কমিটির চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু মাজি।
গত ২৭ জুন রাজ্যের শ্রমদপ্তরের প্রধান সচিব একটি নির্দেশিকা জারি করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের শিল্পকারখানায় নিয়োগ এবং বেতনচুক্তিতে নজরদারি জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করেন। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে সেই কমিটির প্রথম বৈঠক হয় হলদিয়ায়। নজরদারি কমিটির বৈঠকের পরই শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠক করেন জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠকে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক, হলদিয়ার মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত পুলিস সুপার, এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল প্রমুখ। কারখানা চালাতে গিয়ে কী কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে শিল্প সংস্থাগুলির, সেবিষয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয় তাদের। কোনও শিল্প সংস্থা দ্রুত জমি চেয়ে আবেদন জানায়। দূষণ পর্ষদের কাজকর্ম নিয়ে একাধিক অভিযোগ তোলে শিল্প সংস্থাগুলি। বেতনচুক্তি না হওয়ায় কারখানার উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ জানায় একটি সংস্থা।
জেলাশাসক বলেন, শিল্প সংস্থাগুলির কাজের সুবিধায় জেলা প্রশাসন সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছে। দপ্তরগুলিতে যে কোনও ধরনের প্রশাসনিক অনুমোদন যাতে শিল্পসংস্থাগুলি ৮-১০দিনের মধ্যে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন দূষণ পর্ষদের কাজকর্ম নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। পর্ষদের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এদিন সভায় সরাসরি হেনস্তার অভিযোগ করেন বিভিন্ন উদ্যোগপতি। কয়েকদিনের মধ্যেই দূষণ পর্ষদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে হলদিয়ার রিজিওনাল অফিস ভিজিট করবেন বলে জানান জেলাশাসক।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে হলদিয়ার বড় শিল্প সংস্থার মধ্যে একটি মতবিনিময় কর্মশালার আয়োজনের কথাও ঘোষণা করেন জেলাশাসক। বড় শিল্পের প্রয়োজন মেটাতে কীভাবে স্থানীয় ক্ষুদ্র শিল্প কাজে লাগতে পারে সেবিষয়ে আলোচনা হবে। এর ফলে ক্ষুদ্র শিল্পে নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। তাঁর নির্দেশে ওই বৈঠকের জন্য হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(এইচডিএ) চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হরিশঙ্কর পানিক্করের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে এদিন। এছাড়া এদিন হলদিয়ায় কোন কোন সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে রয়েছে তা সার্ভে করার জন্যও মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
No comments