করোনায় হারিয়েছে স্বামীকে,নতুন করে ঘর বাঁধছে আসামের বাসিন্দা দীপালিসুতাহাটার অনন্তপুরের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাস ঘাঁটীর সঙ্গে বিয়ে করছে বিধবা দীপালিট্রেনে চেপে বারোশো কিলোমিটার দূরে আসাম থেকে হলদিয়ায় এসে স…
করোনায় হারিয়েছে স্বামীকে,নতুন করে ঘর বাঁধছে আসামের বাসিন্দা দীপালি
সুতাহাটার অনন্তপুরের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাস ঘাঁটীর সঙ্গে বিয়ে করছে বিধবা দীপালি
ট্রেনে চেপে বারোশো কিলোমিটার দূরে আসাম থেকে হলদিয়ায় এসে সুতাহাটার অনন্তপুর গ্ৰামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বছর চৌত্রিশের বিভাস ঘাঁটীর সঙ্গে বিয়ে হল সাতাশ বছর বয়সী দীপালি তালুকদারের।
বিধবা বিবাহের ফের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিদ্যাসাগরের জেলা মেদিনীপুর।হলদিয়ার মানুষকে আবার মনে করিয়ে দিল চলতি বছরে ছয় মাস আগে বিধবা পুত্রবধূর বিয়ে দেওয়া শ্বশুর-শাশুড়ির কথা।বিজ্ঞান কর্মী নকুল চন্দ্র ঘাঁটীর চলার পথ অবলম্বন করলেন ভাইপো বিভাস ঘাঁটী।
আসাম রাজ্যের কামরূপ(মহানগর) জেলার চন্দ্রপুর গ্ৰামের বাসিন্দা দীপালি তালুকদার ২০১৬ সালে পেশায় সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক ধঞ্জিত তালুকদার কে বিয়ে করে।কিন্তু বিয়ের চার বছরের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ধঞ্জিত।পাঁচ বছরের কন্যা নিকিতা কে নিয়ে একাকীত্ব বোধ করতে থাকে দীপালি।মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাড়ির লোকের অনুমতি নিয়েই পাত্রের খোঁজ করতে থাকেন দীপালি।নিজের স্মার্টফোনে শাদী ডট কমে বেশ কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকে।অবশেষে হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের অনন্তপুর গ্ৰামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাস ঘাঁটীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়।এরপর দুই পরিবারের সদস্যরা কথাবার্তা বলে বিয়ের সমন্ধ ঠিক করে।
রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার এইচ পি এল লিঙ্ক রোড সংলগ্ন একটি মন্দিরে বিভাস ও দীপালির চার হাত এক দেন দুই পরিবার।দীপালি বলেন "মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই,এবার মেয়েকে ভালো করে মানুষ করবো।
বিভাস বলেন "কাকু নকুল চন্দ্র ঘাঁটীর অনুপেরনা পেয়েই সব পুরানো ইতিহাস ভুলে নতুন করে সংসার করতে চাই,আজ থেকে দীপালি ও নিকিতার সমস্ত দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলাম।"
ছোট বেলায় নিকিতা বাবাকে হারিয়ে ফের নতুন করে কাউকে বাবা বলে ডাকতে পারবে জেনে খুব খুশি।গ্ৰামবাসীদের উপস্থিতিতে নব দম্পতিকে বরণ করে নেন শ্বশুর,শাশুড়ি বিল্পপদ ঘাঁটী ও সবিতা ঘাঁটী।
No comments