জুনপুট এর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এখনো মৎস্যজীবীদের মনে আতঙ্ক রয়েছে। সেই আতঙ্কের বাতাবরণ আরো বাড়িয়ে দিল শৌলার ঘটনা। মাছ ধরতে গিয়ে ডুবল ট্রলার। বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রায় সলিল সমাধি হতে বসেছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার।মা মহেশ্বরী নামে এক…
জুনপুট এর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এখনো মৎস্যজীবীদের মনে আতঙ্ক রয়েছে। সেই আতঙ্কের বাতাবরণ আরো বাড়িয়ে দিল শৌলার ঘটনা। মাছ ধরতে গিয়ে ডুবল ট্রলার। বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রায় সলিল সমাধি হতে বসেছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার।মা মহেশ্বরী নামে একটা ট্রলারে চেপে মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন ১৩ জন মৎসজীবি। মঙ্গলবার শৌলা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ডুবে যায় ট্রলারটি। ট্রলারটিকে ডুবতে দেখে ১৩ জন মৎসজীবি প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেন উত্তাল সমুদ্রে। সেই সময় আশপাশে আরো একটি ট্রলার ছিল। পাশাপাশি থাকা অন্যান্য ট্রলারে মৎস্যজীবিরাই ওই 13 জন মৎসজীবি কে উদ্ধার করে। দড়ি ছুঁড়ে দেন তাদের দিকে, সেই দড়ি ধরেই ট্রলারগুলোতে ওঠেন ১৩ জন মৎসজীবি।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেগুলার সমুদ্র উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল ওই ট্রলারটির। যদিও ট্রলারটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়নি। আশেপাশে যে তিনটি ট্রলার ছিল সেগুলি মোটা দড়ির মাধ্যমে ডুবতে বসা ট্রলারটি কে কোন রকমে আটকে রেখেছে। তবে এইভাবে কতক্ষণ আটকে রাখা যাবে তা বলা মুশকিল। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকালে ১৩ জন মৎসজীবি কে নিয়ে মা মহেশ্বরী নামে ট্রলারটি শৌলা মৎস্য বন্দর থেকে সমুদ্রের মাছ ধরতে গিয়েছিল।
কিছুটা সময় যাওয়ার পর ট্রলারটি ডুবে যায়।
প্রাণ বাঁচাতে মাঝিসহ ট্রলারে থাকা 13 জন মৎসজীবি উত্তাল সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়। অন্যান্য ট্রলারের সহযোগিতায় 13 জন মৎসজীবি কে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের এক স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, সুস্থ রয়েছেন তাঁরা। বারবার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। এদিকে এখন যা পরিস্থিতি তাতে সমুদ্রের বেশি গভীরে যেতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। উপকূলের কাছাকাছি যেটুকু মাছ পাচ্ছেন সেটুকু নিয়েই ফিরে আসছেন তাঁরা।
No comments