Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য বাবু পুরের সুনন্দা'র

দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য সুনন্দা'র


দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য সুনন্দা'র

 অদম্য জেদ ও হার না মানার লড়াইয়ে দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য অর্জন করেছে সুনন্দা।বাবা দিন মজুর,মা একশো দিনের কাজ…

 



দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য সুনন্দা'র




দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য সুনন্দা'র



 অদম্য জেদ ও হার না মানার লড়াইয়ে দারিদ্রতা জয় করে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য অর্জন করেছে সুনন্দা।বাবা দিন মজুর,মা একশো দিনের কাজ করেন।এক ছেলে ও মেয়ে কে নিয়ে ৪ জনের সংসার। কিন্তু অভাব অনটন রুখতে পারেনি মেধাবী সুনন্দাকে।তার সফল হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিভাগে ৪৬২ নম্বর পেয়েছে সুনন্দা মাইতি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সুতাহাটার বাবুপুর অ্যাগ্ৰিকালচারাল হাইস্কুলের এই কৃতি ছাত্রী ছোট থেকেই পড়াশোনায় ঝোঁক রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে,এবার নিউট্রেশন নিয়ে পড়তে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি গান গাইতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসে সে।মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পর পড়াশোনা খরচ বেড়ে যায়,করোনা পরিস্থিতিতে দিন মজুরের কাজ হারান তার বাবা নিতীশ রঞ্জন মাইতি।ধার-দেনা করে মেয়েকে পড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।কখনো স্কুলের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে আবার কখনো টিউশনের শিক্ষকরা বিনামূল্যে তাকে পড়িয়েছে।ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হতে চায় সে। কিন্তু অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়,সেখানে তার স্বপ্ন কীভাবে পূরণ হবে? চিন্তায় সুনন্দা ও তার পরিবার। 

সুনন্দার বাবা নিতীশ বাবু বলেন গরীব সংসারে দুবেলা দুমুঠো ভাত ঠিক মতো জুটে না,অনেক কষ্ট করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়িয়েছি‌। আমার পক্ষে পড়ানো আর কোনমতেই সম্ভব নয়। কিন্তু মেয়ে পড়াশোনা করতে চাইছে।এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে পড়াতে পারবো,নাহলে আর সম্ভব নয়।এখনো বাড়ি তৈরি করতে পারিনি,ওর নীচে ওর ভাই আছে,সে বর্তমানে যষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে,দিন দিন তার ও পড়ার খরচ বাড়ছে।মা সুচিত্রা দেবী বলেন মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আমাকে সাহায্য করতে চাইতো, কিন্তু ওর পড়াশোনার ক্ষতি হবে ভেবে বাড়িতে কোন কাজ করতে দেইনি।মেয়ে ভালো রেজাল্ট করলেও এখন অর্থের সঙ্কটে ওকে আর পড়াতো পারছি না।

মেধাবী ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সুন্দর ঘড়া। তিনি বলেন আমরা স্কুলে সাধ্য মতো ওকে সাহায্য করেছি। আগামীদিনেও ওর পাশে থাকবো।সরকারি সাহায্য পেলে মেয়েটি উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারবে।অভাবী সুনন্দার পাশে দাঁড়িয়েছে তৃনমূল শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।এক সদস্য ভবতোষ পাত্র বলেন আমরা সংগঠনের তরফ থেকে ওই অভাবী কৃতীর পাশে দাঁড়াবো।কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

No comments