Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অসুস্থ শিক্ষক নেতা স্বদেশ রঞ্জন রায়! উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা.....

অসুস্থ শিক্ষক নেতা স্বদেশ রঞ্জন রায়! উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা.....হলদিয়া আনন্দবাজার পত্রিকা বিশিষ্ট সাংবাদিক আরিফ ইকবাল খান বলেন অনেক দিন স্যার এর কোনো খবর পাইনি। এমনিতে ফোনে কম শুনতেন। চৈতন্য পুরে মুক্তিধাম মন্দিরের কাছে বাড়ি।…

 

অসুস্থ শিক্ষক নেতা স্বদেশ রঞ্জন রায়! উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা.....

হলদিয়া আনন্দবাজার পত্রিকা বিশিষ্ট সাংবাদিক আরিফ ইকবাল খান বলেন অনেক দিন স্যার এর কোনো খবর পাইনি। এমনিতে ফোনে কম শুনতেন। চৈতন্য পুরে মুক্তিধাম মন্দিরের কাছে বাড়ি। বাড়ি গিয়ে স্যার,স্যার  বলে ডাকছি।  কই স্যার আসছেন না তো। দীর্ঘকায়

এক ব্যাক্তি বেরিয়ে এলেন। স্যার এর সাথে বেশ  মিল। স্যারের ছেলে। সেনাবাহিনীর সুবেদার। 

জানালেন বাবা অসুস্থ। ঘরে ঢুকে যাকে দেখলাম। তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। 

সেই ছবি ও ভিডিও তুলেছি  কিন্তু মন খারাপের ছবির স্যার বিছানায় শয্যাশায়ী। এই যে ছবি দেখছেন তা পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া।  উনি কথা বলার মত জায়গায় নেই।  চোখের তারায় বুঝলাম , খুশি হয়েছেন দেখতে পেয়ে।

চিনতে পারছেন। কিন্তু কথা বলতে পারছেন না।আমি স্যারের সরাসরি কোনো ছাত্র ছিলাম না। কিন্তু ওঁর কর্মকাণ্ড জেনে মনে হয়েছিল #হলদিয়ার #ব্যক্তিত্ব #বিদ্যাসাগর। এত দরদ মানুষের জন্য।ছাত্র ও স্যারের মধ্যে তৈরি হয়েছিল সম্পর্কের সেতু। 

এমন মানুষ কি আর আসবে। ওঁকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় #ব্যক্তিত্ব#  বিভাগ লিখেছি।  এমন মানুষের কর্মকাণ্ড ডিজিটাল মিডিয়ায় ,তথ্য চিত্রে ধরা দরকার। 

ছেলেরা বলছিলেন , বাবার ছাত্র সারা ভারতবর্ষে, দেশে বিদেশে রয়েছে। অর্থ দিয়ে, বুদ্ধিদিয়ে ,হৃদয় দিয়ে সাহায্য করতেন। 

বাথরুমে পড়ে গিয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। সেনা হাসপাতালে বিশ্ব মানের চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। বাড়ি ফিরে এসেছেন। প্রণাম করলাম। চোখ গুলো উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। কথা বেরোয়না। রাইস টিউব ছিল গলায় । বন্ধু , অনুরাগী ,দেখে আসতে পারেন স্যারকে। 



কি বর্নময় জীবন।

স্বদেশরঞ্জন রায়  পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বহুল পরিচিত ছাত্রবন্ধু নামে । ৫১ বছর ধরে ৩০ হাজার দুস্থ -–মেধাবী ছাত্র – ছাত্রীকে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছেন । সারা পৃথিবী জুড়েই ছাত্র ছাত্রীরা ছড়িয়ে রয়েছে । দেশে – বিদেশে প্রতিষ্ঠিত । ১৯৪৩ সালে ২২শে মে নন্দীগ্রামে জন্ম । পড়াশোনা বি এস সি , বি টি । সুতাহাটার দোরোকৃষ্ণনগর বাণীমন্দির স্কুলে শিক্ষকতা করতেন । ২০০৩ সালে অবসর নেন । ১৯৭০ সালে তৈরি করেছিলেন সুতাহাটা মাধ্যমিক শিক্ষক – শিক্ষাকর্মী সমিতি । ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি , খেলা , সংস্কৃতি  বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় এই সংগঠন । ছাত্র গঠনে ৫১ বছর ধরেই এই কাজে নিরলস , অদম্য পরিশ্রম করে চলেছেন। মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ পেলে আর্থিক সাহায্য করেন । হলদিয়ায় ফি বছর  হাজারের বেশি ছাত্র ছাত্রীকে বই ও আর্থিক সাহায্য করেন । ফি বছর  ভালো ফল করা একাধিক স্কুলকেও ট্রফি ও অর্থ দিয়ে উৎসাহিত করেন । 

স্বদেশবাবুদের অনুষ্ঠানে এসেছেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত , প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় , সুশীল কুমার ধাড়া , প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী , প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রমুখ । স্বদেশবাবু জানান , গরীব ছেলে মেয়েদের আর্থিক সাহায্য শুধু নয় নানা ধরনের স্কলারশিপের সন্ধান করে দেওয়া হয় । ৫০ বছর ধরে এই কাজে নানা অভিজ্ঞটা রয়েছে । স্বদেশ জানান , একবার ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুষ্ঠানে এক সাথে এসেছিলেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত , অজয় মুখোপাধ্যায় । ঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য পীঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন অজয়বাবু ।  এমন কোন নেতা – মন্ত্রী নেই স্বদেশবাবুর অনুষ্ঠানে আসেননি । প্রতি বছর কয়েকশো ছেলে মেয়েকে কি করে আর্থিক সাহায্য করেন ? 

 স্বদেশ বাবু জানান , হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় তাঁর ছাত্ররা রয়েছে । সেইসব ছাত্ররা এক সময় অর্থ পেয়েছে । তাছাড়া লন্ডন , আবুধাবি , চিন , ওমান , অস্ট্রেলিয়া , ইন্দোনেশিয়া থেকেও প্রতিষ্ঠিত ছেলে মেয়েরা অর্থ পাঠায় । সুতাহাটায় গরীবের বন্ধু ‘স্টে হোম’ রয়েছে ।  টাকা না দিয়েই এখানে দরিদ্র মানুষ থাকতে পারেন । এখন পর্যন্ত কতজনকে  সাহায্য করেছেন ? স্বদেশবাবু জানান , কম করে ৩০ হাজার ছেলে মেয়ে সাহায্য পেয়েছে । যার যেমন দরকার ততই সাহায্য করা হয় । কয়েকহাজার ইঞ্জিনিয়ার , ডাক্তার  সহ প্রতিষ্ঠিতরাই স্বদেশবাবুর ব্যাংক । টাকা নিয়ে ভাবেন না । প্রয়োজন থাকলে ও তাকাও দেওয়া হয় । শর্ত একটাই । পড়াশোনা করতে হবে ।  পঞ্চাশ পেরিয়েও ক্লান্তি নেই স্বদেশবাবুর । দীর্ঘদেহী এই মানুষটিকে সবাই চেনে ছাত্র বন্ধু হিসেবেই ।স্যার এর বন্ধু বীরেন্দ্র নাথ মাইতি  স্যারকে পুরষ্কার দিয়েছেন। 

আজ স্যার এর যেসব ছবি তুলেছি। সেগুলো আর দিলাম না। অনুরাগীরা খুব কষ্ট পাবেন। দ্রুত সুস্থ হন হলদিয়ার বিদ্যাসাগর।

স্যার এর সুন্দর ছবিটা বিরেনবাবুর অনুষ্ঠানে আমার তোলা।

                                                 

No comments