"অশনি"র মোকাবেলায় জেলা প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অভিমুখ এখনও এরাজ্যের দিকে নেই। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শনিবার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ প্রশাস…
"অশনি"র মোকাবেলায় জেলা প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অভিমুখ এখনও এরাজ্যের দিকে নেই। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শনিবার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ প্রশাসনের অফিসাররা প্রতিটি ব্লকে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি সহ জেলার পদস্থ কর্তারা বিভিন্ন ব্লকে গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। জেলার ২৫টি ব্লকেই দুর্যোগের পর দ্রুত গাছ কেটে সরানোর মহড়া চলে। সিভিল ডিফেন্সের টিম ওই কাজ করেছে।
কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার সব ব্লকে বোরো ধান দ্রুত বাড়িতে তোলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। রাজ্য কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সতর্কবার্তার লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। ১০-১৩মে উপকূলবর্তী জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত পাকা ধান বাড়িতে তোলার, সব্জির মাচা ও পানের বরজকে শক্ত করে বেঁধে রাখার এবং তৈলবীজ, ডালশস্য প্রভৃতি জমি থেকে জল নিকাশির ব্যবস্থা করে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত নিম্নচাপ ১০ মে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূল থেকে কিছুটা দূরে মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আসবে। এরফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং
ঝড়ের রেশ থাকার কথা। উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফি-বছর একটি করে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়। গতবছর যশ এবং তার আগের বছর উমপুন সাইক্লোনে জেলায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায়
প্রশাসন আগেভাগে প্রস্তুতি সেরে রাখছে। বিশেষ করে ঝড়ে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়লে দ্রুত সেসব সরিয়ে যাতে রাস্তাঘাট সচল করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। তারজন্য ২৫টি ব্লকেই ক্যুইক রেসপন্স টিম এদিন রাস্তায় নামে।
ঘূর্ণাবর্তের অভিমুখ দেখে জেলা প্রশাসন এনডিআরএফ কিংবা এসডিআরএফ টিমের জন্য রিক্যুইজিশন পাঠাবে। আপাতত জেলাশাসক এবং তিন অতিরিক্ত জেলাশাসক এদিন উপকূলবর্তী ব্লকে গিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নেন। একাধিক সাইক্লোনে শেল্টার ভিজিট করেন। নদীবাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন সেচ ও জলপথ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, আমাদের জেলায় ৯০ শতাংশ বোরো ধান মাঠ থেকে ঘরে চলে এসেছে। বাকি ১০ শতাংশ ধান দ্রুত ঘরে তোলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা থাকলেও ঝড়ের কোনও সতর্কবার্তা নেই। শনিবার প্রশাসন এবং বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররা রাস্তায় নেমে বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। •
No comments