বরাদ্দ হয়নি টাকা, বিশ বাঁও জলে মহাকুমাশাসকের নতুন ভবনের কাজহলদিয়ায় ভাঙাচোরা ভবনেই চলছে মহকুমাশাসকের দফতর। পরিস্থিতি এমনই যে, টেন্ডার হয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় শুরু করা যায়নি হলদিয়া হবে না মহকুমাশাসক…
বরাদ্দ হয়নি টাকা, বিশ বাঁও জলে মহাকুমাশাসকের নতুন ভবনের কাজ
হলদিয়ায় ভাঙাচোরা ভবনেই চলছে মহকুমাশাসকের দফতর। পরিস্থিতি এমনই যে, টেন্ডার হয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় শুরু করা যায়নি হলদিয়া হবে না মহকুমাশাসকের নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ। অবস্থা বুঝে হাত গুটিয়ে নিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। সব মিলিয়ে বিশ বাঁও জলে প্রকল্প! বহু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে হলদিয়া মহকুমাশাসকের অফিস স্থানান্তরিত হয়ে চলে যাবে সিটি সেন্টারে। কিন্তুএর চেয়ে কাজ আর এগোয়নি। ২০১৮ সালে নতুন ভবন নির্মাণের টেন্ডারে একটি ঠিকাদার সংস্থাকে নির্বাচিত করা হয়। মোট ১৬ কোটি টাকা ভবন- সহ অন্য পরিকাঠামোর জন্য বরাদ্দও করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থাকে ওয়ার্ক-অর্ডার দেওয়া হয়নি। এরপর তিন বছর কেটে যাওয়ার পর ঠিকাদার সংস্থা জানায়— ইমারতি দ্রব্য, সিমেন্ট, রডের দাম বেড়েছে অনেকটাই। তাই আগের রেটে আর কাজ করা অসম্ভব।
অন্য দিকে মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে খবর, ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্গাচকে হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত এই দফতর। সেখানে একই ভবনে রয়েছে একাধিক সরকারি দফতর। রয়েছে মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি
দফতরও। পূর্ত দফতরের একটি সুত্র জানাচ্ছে, আগে মহকুমাশাসকের বাংলো এবং রেসিডেন্সিয়াল জোন-সহ পাঁচতলা ভবন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে তা তিনতলা ভবনে নেমে আসে।
নতুন ভবনের কাজ থমকে গেল কেন? সূত্রের খবর, ঠিকাদার আর এন ত্রিপাঠী বলেন, “তিন বছর আগে যে রেটে কাজ ধরেছিলাম। সেই রেটে এখন কাজ করা সম্ভব নয় জানিয়ে দিয়েছি।” পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, টেন্ডার প্রক্রিয়া হলদিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর অর্থ বরাদ্দের জন্য পাঠানো হলেও, তা মঞ্জুর হয়নি। ইতিমধ্যে টেন্ডারের সময়সীমা পেরিয়ে যায়, ফলে প্রক্রিয়াটি বাতিল হয়ে যায়। হলদিয়ার মহকুমাশাসক লক্ষ্মণ পেরুমল বলেন, “নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”
No comments