দীর্ঘদিনের রাস্তা যেন মরনফাঁদে পরিণতভোট আসে যায় কিন্তু আশ্বাস দিলেও বিশ্বাস জোগায় না জনপ্রতিনিধিরা।দীর্ঘ ৩৪বছরের বাম আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তিনবারের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলেও আজও হয়নি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্ক…
দীর্ঘদিনের রাস্তা যেন মরনফাঁদে পরিণত
ভোট আসে যায় কিন্তু আশ্বাস দিলেও বিশ্বাস জোগায় না জনপ্রতিনিধিরা।
দীর্ঘ ৩৪বছরের বাম আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তিনবারের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলেও আজও হয়নি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী গ্রামের দীর্ঘ দিনের মোরাম রাস্তার সম্প্রসারন। নস্করদিঘীর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা রাস্তা থেকে শীমূলহান্ডা পিচ রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৩কিলোমিটার রাস্তাটি আজও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এলাকার মানুষজন কংক্রিটের ঢালাই রাস্তার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে তা এখনও রুপ দিতে পারেনি বর্তমান রাজ্য সরকার।
যার ফলে বৃষ্টি নামলেই রাস্তায় জমছে জল কাদা,রাস্তা জুড়ে বড় বড় গভীর গর্ত হয়ে যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বেশ কয়েকবার টোটো মোটরবাইক উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, বিশেষতঃ ভাবে কোনো ইমারজেন্সি রোগীকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে,ঢুকতে চায়না অ্যাম্বুলেন্স ,এই রাস্তার কারনে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আর তা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় সাধারণ পথচলতি মানুষদের। পাঁশকুড়া ফুল থেকে শুরু করে নানান সব্জি চাষের জন্য বিখ্যাত তাই ওই রাস্তা দিয়েই চাষিদের ফুল সব্জি নিয়ে কখনও চারচাকা তো কখনও বাইকে করে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। এমনকি স্কুল গাড়ি ,মারুতি ,মেশিনভ্যান, টোটো চালক থেকে সাইকেল আরোহীরাদের বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে হয় ওই রাস্তা দিয়ে। হেঁটে যাতায়াত করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পথ চলতি মানুষদের। প্রায় বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষজন ওই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করেন, এমনকি নস্করদিঘীর ঐতিহ্যবাহী বিশাল রথও টানা হয় ওই রাস্তায়। স্থানীয় মানুষদের কাছে ওই বেহাল রাস্তা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।
তবে ঢালাই হওয়ার জন্য ওই রাস্তাটি জেলা পরিষদ থেকে রাস্তা সংশন হলেও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় পরে তা বাতিল হয়ে যায়। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! তাছাড়া স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রাস্তা সম্প্রসারনের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
কিন্তু বাম আমলে বেশ কয়েকবার মোরাম ফেলে সম্প্রসারণ করলেও বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কমলা সন্নিগ্রাহীর আমলে রাস্তা সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা স্বয়ং গ্রাম প্রধান কমলা সন্নিগ্রাহী। তা সত্ত্বেও কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা বা মোরাম ফেলানো তো দূরের কথা ছিটেফোঁটা সম্প্রসারণ কেন হয়নি তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
ওই রাস্তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকাংশ গ্রামবাসীরা।
কারন গ্রামবাসীরা ছেড়েই দিয়েছেন কংক্রিটের ঢালাই রাস্তার স্বপ্ন,এতদিন সামান্য মোরাম ফেলে সম্প্রসারন যেখানে হয়নি সেখানে নতুন কংক্রিটের রাস্তা যে হবে না তা ধরেই নিয়েছে এলাকাবাসীরা।
No comments