৭৩ বছর বয়সে গবেষণা লব্ধ ডি.লিট, দেশের ইতিহাসে প্রথম! বলছে টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়সাম্মানিক ডি.লিট নয়, গবেষনা লব্ধ ডি.লিট পেয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ চন্দ্র শেঠ যা সম্ভবতঃ দেশের ইতিহাসে প্রথম দাবি করলেন কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যাল…
৭৩ বছর বয়সে গবেষণা লব্ধ ডি.লিট, দেশের ইতিহাসে প্রথম! বলছে টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্মানিক ডি.লিট নয়, গবেষনা লব্ধ ডি.লিট পেয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ চন্দ্র শেঠ যা সম্ভবতঃ দেশের ইতিহাসে প্রথম দাবি করলেন কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/6PqgBhc92Qc
শনিবার, ২৮ শে মে হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এইচআইটির সত্যেন্দ্রনাথ বোস প্রেক্ষাগৃহে কর্ণাটক সরকারের অধীন টুমুকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রী শেঠের এই ডি.লিট প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সেমিনারে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (মূল্যায়ন) ডঃ নির্মল রাজু বলেন, " শুধু ডিলিট নয়, শ্রী লক্ষণ চন্দ্র শেঠ ৭০ বছর বয়সে পিএইচ ডিগ্রি অর্জন করাটাও একটি বিরলতম উদাহরন। যদিও পিএইচডির চাইতেও ডি.লিট পাওয়াটা আরও কঠিনতম কাজ। ডি. লিটের জন্য নিবন্ধীকরন থেকে ডি.লিট প্রাপ্তি অবধি পাঁচটি কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে বড় প্রক্রিয়াটি হল সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপকরা বিষয়ের ওপর আবেদনকারী যে থিসিস বা গবেষণাপত্রটি তৈরি করেন তা খতিয়ে দেখেন। তারপর তাঁরা সরাসরি সাক্ষাতকার নেন আবেদনকারীর। তাঁরা সন্তুষ্ট হওয়ার পরই আবেদনকারীকে ডি.লিট প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও, কর্নাটক বিশ্ববিদ্যালয়, কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়, গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা সেই মূল্যায়নের কাজটি করেছিলেন।"
উল্লেখ্য লক্ষণ চন্দ্র শেঠ ২০১৯ সালে কর্ণাটক সরকারের মইশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'গান্ধীজীর গণতন্ত্র ভাবনা ও বর্তমানে তার প্রাসঙ্গিকতা' বিষয়ে পিএইচ ডি অর্জন করার পর ওই বছরই টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি.লিটের জন্য নিবন্ধন করেন। চলতি বছরের ১০ই মে শ্রী শেঠকে ডি.লিট প্রদান করা হয়। শ্রী শেঠ জানান, ২০১৪ সালে আমার প্রাক্তন রাজনৈতিক দল সিপিএম থেকে বিযুক্তিকরনের পর থেকেই নতুন করে ইতিহাস চর্চার কথা শুরু করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলাম। ছাত্র জীবনে ইতিহাস আমার পাঠ্য বিষয় ছিল তাই ইতিহাসের বিষয়কেই বেছে নিয়েছিলাম। গান্ধীজীর ওপর পিএইচডি করার জন্য আমি ডি.লিট করার জন্য বেছে নিয়েছিলাম গৌতম বুদ্ধের জীবনকে। এরই মধ্যে আমি কোভিডে আক্রান্ত হই, এখনও আমি করোনা উত্তর চিকিৎসার অধীন কিন্তু তারই মধ্যে আমি এটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।
No comments