কন্যাশ্রীর বিয়ে রুখল মহিষাদল ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকগন২৫ মে ২০২২ , বুধবার বিকালে নাবালিকার বিয়ে রুখল মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক গন। মহিষাদল গেঁওখালি সুরুচি হোটেলের পাশে শঙ্খ ভান্ডার দোকানে লক্ষ্যা গার্লস হাইস্কুলের এবারে…
কন্যাশ্রীর বিয়ে রুখল মহিষাদল ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকগন
২৫ মে ২০২২ , বুধবার বিকালে নাবালিকার বিয়ে রুখল মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক গন। মহিষাদল গেঁওখালি সুরুচি হোটেলের পাশে শঙ্খ ভান্ডার দোকানে লক্ষ্যা গার্লস হাইস্কুলের এবারের (H.S )উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কে তাঁর বাবা চন্দন পাত্র, মা ও মাসিমা সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন মিলে বিয়ে দেওয়ার জন্য শাঁখা পরা তে যান। সেই সময় ওই দোকানে মহিষাদল ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক সুজন দাস উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনার কথা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল কে ফোনে জানান। বিডিও মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন গোস্বামীকে ঘটনার তথ্য জানান। মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন দোকানে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে যান। স্কুলছাত্রীর বয়স এখনও ১৮ বছর হয়নি।
লক্ষ্যা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপাঠী বলেন, ও আমাদের স্কুলের ছাত্রী । মহিষাদল ব্লকের চক দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রণয় পাল- এর সাথে তার বিবাহের বন্দোবস্ত ছিল পাশের নন্দকুমার ব্লক -এর ঝিঙ্গেসরি মন্দিরে। মহিষাদল ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক সুজন দাস জানিয়েছেন ,POCSO আইনে মেয়ের বাবা-মা মাসিমা ও গাড়ির ড্রাইভারকে মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন আটক করে রেখেছেন। নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ের ঘটনায় মহিষাদল থানায় উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বনমালী হালদার, ভারপ্রাপ্ত ব্লকের সমাজ কল্যাণ আধিকারিক দেবব্রত বিশ্বাস ও ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক(C.D.P.O) সুজন দাস প্রমূখ। তবে শুধু এই ঘটনা নয় ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নাবালিকা বিয়ের পরিসংখ্যান আতঙ্কে উঠার মতো । গোটা রাজ্যের মধ্যে এই জেলায় নাবালিকা বিয়ে সব চেয়ে বেশি । ন্যাশনাল ফ্যামিলি এন্ড হেলথ সার্ভে (N.F.H.S) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে । তাই নাবালিকা বিয়ে রুখতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।
No comments