"১০২ অপারজিত" এখনো সরকারি বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হলদিয়ার পরেশচন্দ্র
ষাটের পর আরও ৪২ বছর পার! কিন্তু বার্ধক্য ভাতার দেখা নেই।এদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ঔষধ কিনতে হিমশিম অবস্থা। আর্থিক সঙ্কটে দিশাহারা হলদিয়া শিল্পশহর ল…
"১০২ অপারজিত" এখনো সরকারি বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হলদিয়ার পরেশচন্দ্র
ষাটের পর আরও ৪২ বছর পার! কিন্তু বার্ধক্য ভাতার দেখা নেই।এদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ঔষধ কিনতে হিমশিম অবস্থা। আর্থিক সঙ্কটে দিশাহারা হলদিয়া শিল্পশহর লাগোয়া দেভোগ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কিসমত শিবরামনগর গ্রামের বাসিন্দা ১০২ 'নট আউট' পরেশচন্দ্র বেতাল।১৩২৭ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে জন্ম পরেশবাবুর,স্ত্রী রাধারানি প্রায় পনেরো বছর আগে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কয়েকবছর আগে এক ছেলে পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। বর্তমানে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।বাড়িতে নাতি-নাতনি মিলিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা এখন আট জন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সুতাহাটায় থানা ঘেরাও থেকে 'নুন মারায়' তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।পড়াশোনা করার তেমন সুযোগ ছিল না। তাই সরকারি চাকরি-বাকরিও করতে পারেননি।তাই পেনশনের ব্যাপারও নেই। বাড়িতে অর্থকষ্ট রয়েছে।এই অবস্থায় বার্ধক্য ভাতা খুব দরকার বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, “এই ভাতার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান, স্থানীয় বিডিওর কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু কেন হয়নি তারাই জানেন। বলার সুযোগ থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকেও বলব,বার্ধক্যভাতা পেলে আমার ওষুধের খরচ টুকু হয়ে যাবে। আর বেশি কিছু চাই না।" শুরুতে জাতীয় কংগ্রেস করতেন। তাই ব্রিটিশ রাজের সময় সুতাহাটা থানা ভাঙার আন্দোলনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নেতাদের কাছে নিজের হয়ে কেউ সুপারিশ করতে পারেননি। তাই স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্বীকৃতি, ভাতা সবটাই অধরা থেকে গিয়েছে। ছেলে গোবিন্দ বেতাল জানান, “শেষ বার দুয়ারে সরকার শিবিরে বাবার বার্ধক্য ভাতা চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু বাবার হাতের টিপছাপ মিলছে না। এদিকে বাবার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নেই। এই বয়সে নতুন বই করা যাবে না বলে ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। সেই সবের জন্য আটকে গিয়েছে। স্থানীয় বিডিও সঞ্জয় দাস বলেন, “হলদিয়া ব্লকে বার্ধক্য ভাতার নতুন আবেদনপত্র প্রায় তিন হাজার জমা রয়েছে। সরকারের তরফে ছাড়পত্র এখনও মেলেনি।পরেশবাবুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
No comments