অবশেষে ময়না বাকচা অঞ্চলের খুনের কিনারা করল পুলিশ। কিভাবে কৃষ্ণ পাত্র কে খুন করেছে স্ত্রী রুপালী পাত্র এবং ভাই বলরাম পাত্র দেখুন।
রহস্যজনক খুনের কিনারা করল ময়না থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার ময়নার বাকচা অঞ্চলের চাঁদি বেনিয়া গ্রামের …
অবশেষে ময়না বাকচা অঞ্চলের খুনের কিনারা করল পুলিশ। কিভাবে কৃষ্ণ পাত্র কে খুন করেছে স্ত্রী রুপালী পাত্র এবং ভাই বলরাম পাত্র দেখুন।
রহস্যজনক খুনের কিনারা করল ময়না থানার পুলিশ
গত মঙ্গলবার ময়নার বাকচা অঞ্চলের চাঁদি বেনিয়া গ্রামের বছর চল্লিশের ইটভাটার শ্রমিক রহস্যজনকভাবে খুন হন ৷ তিন দিনের মাথায় অবশেষে কৃষ্ণ পাত্রের খুনের রহস্য উন্মোচিত হলো ৷ পরকীয়ার জেরে কৃষ্ণ পাত্র খুন স্বীকার করল তার স্ত্রী রুপালী পাত্র৷ ময়না থানার ওসি গোপাল পাঠক ও সেকেন্ড অফিসার চন্দন মাইতি সহ সমস্ত অফিসারদের প্রচেষ্টায় এই খুনের কিনারা সম্ভব হলো বলে মনে করা হচ্ছে ৷ গতকাল বলরাম পাত্র ও রুপালী পাত্র কে কোর্টে তোলার পর খুনের কিনারা করতে পুলিশ তাদের দশ দিনের হেফাজতে নেয় ৷ গতকাল রাত থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করার পর এই খুনের কথা দুজনে স্বীকার করে নেয় ৷ আজ সকালে প্রকৃত ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করতে স্নিফার ডগের সাহায্য নেওয়া হয়। আজ বিকেলে বলরাম পাত্র ও রুপালী পাত্র কে নিয়ে গিয়ে খুনের চিত্রনাট্য তৈরি করা হয় ৷
এতে প্রকাশিত হয় মৃত কৃষ্ণ পাত্রে ভাই বলরাম পাত্র সঙ্গে তার স্ত্রী রুপালি পাত্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল ৷এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়াঝাটি ও অশান্তি লেগেই থাকত ৷এই অশান্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রীর মাথায় খুনের পরিকল্পনা আসে। এই পরিকল্পনায় সায় দেয় কৃষ্ণপক্ষের ভাই বলরাম পাত্র৷
গত মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণ পাত্র টিভি দেখতে দেখতে ঘরের বারান্দার খাটে দেওয়ালের দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে পড়ে |তার স্ত্রী রুপালী পাত্র একটি শাবল দিয়ে সজোরে কৃষ্ণ পাত্রের মাথায় আঘাত করে ৷ সেই আঘাতে কৃষ্ণপাত্র অজ্ঞান হয়ে যায় ৷ খুন নিশ্চিত করতে তারপর আরও তিনবার লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করে ৷ মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর কৃষ্ণ পাত্রর স্ত্রী রুপালী পাত্র ফোন করে বলরাম পাত্র কে ডাকে ৷ দুজনে মিলে কৃষ্ণ পাত্রের রক্তাক্ত জামা কাপড় বস্তাবন্দি করে ৷রক্তাক্ত খাটটিকে একটি গামছা দিয়ে মুছে ফেলা হয় ৷পরে ওই গামছাটি পুকুরে ধুয়ে নিয়ে গিয়ে কার্নিশের উপরে তুলে রাখা হয় ৷ তারপর মৃতদেহটিকে দুজনে মিলে বাড়ির সামনে একটি নালার মধ্যে ফেলে দেয় ৷ খুনের জন্য ব্যবহৃত শাবলটি ঘরের পেছনের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় ৷ যে ফোনটি কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রীর রূপালি পাত্র সব সময় ব্যবহার করতেন সেই ফোনটি খুনের পর বাড়ির কার্নিশ ছুঁড়ে ফেলে দেয় ৷ তারপর বলরাম পাত্র ঘরের গ্রীলের দরজায় তালা লাগিয়ে রক্তাক্ত বস্তাবন্দি কৃষ্ণ পাত্রের জামাকাপড় নিয়ে চণ্ডীয়া নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় ৷ তারপর বলরাম পাত্র তার নিজের বাড়িতে ঘুমোতে চলে যায় ৷
তদন্তে নেমে ময়না থানার পুলিশ প্রাথমিকভাবে পরকীয়ার তত্ত্ব জানতে পারে কৃষ্ণ পাত্রের বড়দাদা কাছে ৷ তারপর খুনে ব্যবহৃত ভিজে গামছা টি বাড়ীর ভেতরে কার্নিসে পাওয়ার পর খুনটি বাড়ির ভেতরেই হয়েছে পুলিশ তাএক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় ৷
No comments