Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নয়াচরের দূর্বল নদীবাঁধ ভাঙার আশঙ্কা

নয়াচরের দূর্বল নদীবাঁধ ভাঙার আশঙ্কামহিষাদল ব্লকের অন্তর্গত রূপনারায়ণ নদের বুকে মায়াচর দ্বীপের মানুষের কাছে এমন ভতকাতুরে পরিস্থিতি।সকলের নজর দ্বীপের নদীবাঁধের ওপর।          গত বছর বুদ্ধপূর্ণিমার দিন নদীবাঁধ টপকে দ্বীপের লোকালয়ে জ…

 



 নয়াচরের দূর্বল নদীবাঁধ ভাঙার আশঙ্কা

মহিষাদল ব্লকের অন্তর্গত রূপনারায়ণ নদের বুকে মায়াচর দ্বীপের মানুষের কাছে এমন ভতকাতুরে পরিস্থিতি।সকলের নজর দ্বীপের নদীবাঁধের ওপর। 

         গত বছর বুদ্ধপূর্ণিমার দিন নদীবাঁধ টপকে দ্বীপের লোকালয়ে জল ঢুকেছিল।বিপন্ন অবস্থায় পড়েছিলেন কয়েক শো মানুষ।


আট-দশটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল ।সেই ঘটনার পেছনে দ্বীপের ছয় হাজার বাসিন্দার রোষ গিয়ে পড়ে নদীবাঁধের ওপর । নদীবাঁধ ছিল ভাঙা,দুর্বল,উচ্চতায় কম ।আজ সোমবার বুদ্ধপূর্ণিমা । নদীতে কোটালে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।  তাই সিঁন্দুরে মেঘ দেখে শঙ্কা জাগার পরিবেশ দ্বীপভূমিতে ।  নদের জল বরাবর সাত কিলোমিটার বাঁধ । স্থানীয় রবীন্দ্র শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পূর্ব দিকে মাত্র ৫০০মিটার কংক্রিটের তৈরী শক্তপোক্ত বাঁধ রয়েছে । বাকি অংশ যতই পশ্চিম দিকে এগিয়েছে,পুরোটাই মাটির তৈরী । কিছু অংশে বোল্ডার,ভাঙা ইট রয়েছে ।  বিশেষ করে দ্বীপের  আশদতলা থেকে আমতলা এক কিলোমিটার নদীবাঁধ ভীষণ দুর্বল। পশ্চিমে খেয়া ঘাটের কাছে তিনশো মিটারের অবস্থাও একই রকম । গত বছর জলোচ্ছ্বাসে এই দুটি জায়গা দিয়ে জল বেশি ঢুকেছিল দ্বীপে । গত আট-নয় মাস ধরে  সেচ দফতর নতুন নদীবাঁধ তৈরীর কাজ করেছে । কিন্তু তা আবার মাটির । নির্মাণ পরিকল্পনায় নদীর কূলে বাঁধের অংশ কংক্রিটের করা হবে । কিন্তু তা কেবল কথার কথা,স্থানীয়দের ভরসা দেওয়া। কিন্তু কাজ এখনো হয়নি। আর এই জায়গায় ভয় দানা বাঁধছে দ্বীপের মানুষের মধ‍্যে ।  স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন গুচ্ছাইত জানান,"সেচ দফতর উচিত ছিল নদীবাঁধটিকে আরও অন্তত দু'ফুট উঁচু করা । দ্বীপের ভিতরের দিকে বাঁধটি আরও তিন-চার ফুট চওড়া করা দরকার ছিল । সর্বোপরি জরুরি ছিল নদী বরাবর বাঁধটি কংক্রিটের চাদরে মুড়ে দেওয়া খুব দরকার । সেসব না করে দায় সারা কাছ হয়েছে । তাই এই পূর্ণিমার কোটাল কিংবা সামনে বর্ষায় বিপদ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।" আমতলার জয়ন্ত গুড়িয়া,আশদতলার পবিত্র পট্টনায়েক এবং শংকর মাইতি সকলে সেচ দফতরের কাজে অসন্তুষ্ট । যদিও দ্বীপবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই । তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র । তিনি বলেন,"সেচ দফতর পরিস্থিতি বুঝে যা করা দরকার তা করেছে । আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন । মায়াচর দ্বীপের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । সেচ দফতর সমূহ পরিস্থিতি নজরে রেখেছে । দ্বীপের মানুষের পাশে আছে ।"

No comments