হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে পালালো পুলিশ কর্মী স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা ! তদন্তের গড়িমসির আশঙ্কা প্রকাশ মৃত বধুর পরিবারের সদস্যরা
প্রদীপ মাইতি ঃ বধুকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্ট…
হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে পালালো পুলিশ কর্মী স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা ! তদন্তের গড়িমসির আশঙ্কা প্রকাশ মৃত বধুর পরিবারের সদস্যরা
প্রদীপ মাইতি ঃ বধুকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশ কর্মী স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এমনকি মৃত বধুকে হাসপাতালের দেখে পালালো শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। হাসপাতালের চিকিৎসক দেখে ওই বধুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার হইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলতাবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বধু চামলি সিংহ (২৬)। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। মৃত বধু বাপের বাড়ির সদস্যরা খুনের অভিযোগ সরব হয়েছেন। কাঁথি থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মহাকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত বধুর মা থেকে আত্মীয়-পরিজনরা। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি করার সময় কোন নাম ঠিকানা ছাড়াই ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যরা বলে বাপের বাড়ির অভিযোগ।
সূত্রের খবর , গত কয়েক বছর আগে কাঁথির আলালপুর গ্রামের চামলি মাইতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কাঁথি থানার হইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলতাবেড়িয়া গ্রামের পুলিশ কর্মী অজয় সিংহ। তিনি কলকাতা পুলিশের কর্মরত। পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই মধুর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও অভিযোগ। তারমাঝেও একটি শিশু কন্যা জন্ম নেয়। ৫ বছরের শিশু কন্যার মুখে তাকিয়ে শ্বশুরবাড়ি অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছিলেন ওই বধু। বৃহস্পতিবার নেমে আসে চরম পরিণতি। বাড়ির দরজা বন্ধ করে বধুকে মারধর করে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় শ্বশুরবাড়ি সদস্যরা বলে অভিযোগ। আর প্রতিবেশী থেকে বাপের বাড়ির সদস্যদের চোখে ধুলো দিতে অবশেষে হাসপাতালে নিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ি সদস্যরা। বধুকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে চম্পট দেয় স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন মৃত বধুর বাপের বাড়ির সদস্যরা থেকে আত্মীয় পরিজনরা। আর খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মৃত বধুর বাপের বাড়ির সদস্যরা।
মৃত বধুর বাবা গৌতম মাইতি অভিযোগ করে বলেন " তার মেয়েকে খুন করে জোর করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। হাসপাতালে রোগীকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেন কেন ? মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত চাই। পুলিশকর্মী থাকার কারণে তদন্তে গাফিলতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি "।
কাঁথি থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন " মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজী হননি তিনি "।
যদিও মৃতের শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একাধিকবার পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হলে বন্ধ থাকার কারণে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
No comments