Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং!! হলদিয়ার আশ্রম থেকে উদ্ধার হল বহু ধার্য পদার্থ সহ অস্ত্র! সাধুর অস্ত্রের আঘাতে আহত ১১জন, গ্রেপ্তার সাধু

হলদিয়ার আশ্রম থেকে উদ্ধার হল বহু ধার্য পদার্থ সহ অস্ত্র! সাধুর অস্ত্রের আঘাতে আহত ১১জন, গ্রেপ্তার সাধুজমি বিবাদের জেরে মাঝ রাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ১১ জন, গ্রেপ্তার ১
মাঝরাতে বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের …

 




হলদিয়ার আশ্রম থেকে উদ্ধার হল বহু ধার্য পদার্থ সহ অস্ত্র! সাধুর অস্ত্রের আঘাতে আহত ১১জন, গ্রেপ্তার সাধু

জমি বিবাদের জেরে মাঝ রাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ১১ জন, গ্রেপ্তার ১


মাঝরাতে বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে শনিবার চৈতন্যপুর সংলগ্ন ভূপতিনগর থেকে এক সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করল সুতাহাটা থানা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম নারায়ণ মণ্ডল ওরফে নারায়ণ ব্রহ্মচারী। ভূপতিনগর গ্রামেই তার বাড়ি। গ্রামের এক প্রান্তে এক ব্যক্তির দান করা জমিতে সে একটি আশ্রম গড়েছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ সে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা রিনা মান্নার বাড়িতে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট করে এবং দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন দিয়ে পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। একই সঙ্গে গ্রামের আর এক বাসিন্দা আনন্দ মণ্ডলকে ঘুমন্ত অবস্থায় তরোয়ালের কোপ দিয়ে খুনের চেষ্টা করে ওই নারায়ণ।

 দুই পরিবারের বাসিন্দারা ওই সময় চিৎকার করতেই প্রতিবেশীরা জড়ো হন। সেই সময় নারায়ণ তরোয়াল নিয়ে তাণ্ডব চালায়। তরোয়ালের আঘাতে ১১জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা বলেন, নারায়ণ সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করেছিল কিছুদিন আগে। মাঝে মাঝে সে উধাও হয়ে যেত। কিছুদিন আগে গ্রামে ফিরে নিজের বাড়িতে না থেকে এক ব্যক্তির দান করা জমিতে আশ্রম গড়ে তোলে। ওই গ্রামেই তার বাবা ও ভাইরা থাকেন। অভিযোগ, সন্ন্যাসী হওয়ায় গ্রামের কিছু লোকজন তাকে সমীহ করতে শুরু করে। এই সুযোগে নারায়ণ গ্রামে বেআইনিভাবে জমি হাতানোর চেষ্টা করে। 

তার নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তবু প্রশাসনের কাছে গিয়ে ছলেবলে কৌশলে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। জানা গিয়েছে, সে জমি সংক্রান্ত বিবাদের আক্রোশ থেকে শুক্রবার রাতে হামলা চালায় আনন্দ মণ্ডল ও রিনা মান্নার বাড়িতে। জানা গিয়েছে, গরমকালে জানালা খুলে ঘুমোচ্ছিলেন আনন্দ মণ্ডলের পরিবার। বেশ কিছুদিন ধরে নারায়ণ এটি লক্ষ্য করে। ওইদিন রাতে ঘুমন্ত আনন্দবাবুকে খোলা জানালা দিয়ে তরোয়ালের কোপ লাগানোর মুহূর্তে শব্দ পেয়ে জেগে ওঠেন তাঁর স্ত্রী। কোনও রকমে তিনি সেটি ধরে ফেলেন। তাঁর হাত রক্তাক্ত হলেও স্বামী বেঁচে যান।

প্রতিবেশীরা বলেন, চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সবাই বাড়ির বাইরে বেরলেও ভয়ে কেউ নারায়ণের দিকে এগতে সাহস পাচ্ছিল না। সেই সুযোগে সে লুকিয়ে পড়ে। তারপর সারা গ্রাম রাতভর তল্লাশি করে তাকে পাকড়াও করে পুলিসে তুলে দেয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সন্ন্যাসীর ভেক ধরে নিজের ঘরের মধ্যে নারায়ণ ধরালো অস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ জমা করেছিল। তাকে নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিসি সভা করা পর পুলিসেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এদিন ধৃত নারায়ণকে হলদিয়া আদালতে তোলা হলে ৪ (চার) জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, নারায়ণকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ওর আশ্রমে পুলিস তল্লাসি চালাবে। গ্রামের মানুষের আতঙ্ক কাটাতে পুলিস পিকেট বসানো হবে ভূপতিনগরে।

No comments