বেহাল সড়ক,প্রসাশনের উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় প্রসাশন
রাস্তার বেহাল দশা,তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনের।হচ্ছে,হবে করে কেটে গেছে ছয় মাস! তবুও রাস্তা সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই।হলদিয়া শিল্পশহর লাগোয়া দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত…
বেহাল সড়ক,প্রসাশনের উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় প্রসাশন
রাস্তার বেহাল দশা,তবুও হুঁশ নেই প্রশাসনের।
হচ্ছে,হবে করে কেটে গেছে ছয় মাস! তবুও রাস্তা সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই।
হলদিয়া শিল্পশহর লাগোয়া দেভোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের ২৫৪ নং বুথ এলাকায় স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে একটি ক্রংকিটের রাস্তার বেহাল অবস্থা।প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা।প্রশাসনের উদাসীনতা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেশ কয়েকমাস আগে রাস্তায় ফাটল ধরে,এরপর তা বাড়তে বাড়তে,বর্তমানে রাস্তায় কার্যত ধস নেমেছে।
ওই রাস্তা দিয়ে পথচারিদের যাতায়াত করতে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।ফলে তারা বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের সামনে গ্রামের মাঠের ওপর দিয়েই সাইকেল,মোটরসাইকেল,মেশিনভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করছে।এর ফলে মাঠে খেলার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোন সময় দূর্ঘটনার ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য হৃষিকেষ মাজী দেভোগ অঞ্চলের প্রধান।কিন্তু নিজের এলাকায় রাস্তা খারাপ জানা সত্বেও সারাইয়ের কোন উদ্যোগ নেই কেন?এ বিষয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্ৰামের মানুষ।তাদের দাবি নামেই প্রধান আসলে এলাকার কোন খোঁজ খবর রাখে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন এই খারাপ রাস্তায় বেশ কয়েকবার দূর্ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রধান কে বারবার জানিয়েও কোন সুরহা হয়নি।
ওই রাস্তা দিয়ে রোজ সকালে হলদিয়া শিল্প কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক যাতায়াত করে।কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার তাদের বাধ্য অন্য দিক থেকে ঘুরে যেতে হচ্ছে।
গ্ৰামের রাস্তা হলেও ওটাই ওই এলাকার মূল সড়ক।রাস্তা খারাপের জেরে কেউ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে ত্র্যাম্বুলেন্স পযর্ন্ত ঢুকতে পারে না।
কিসমত শিবরামনগর ১ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রীতিমতো আতঙ্কে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে।ওই স্কুলের শিক্ষক অনুপ পাঁজা বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গ্ৰামের মাঠে ক্লাসের ফাঁকে ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলা করে।কিন্তু যেভাবে ওই মাঠের ওপর দিয়ে গাড়ি ছুটছে।তাতে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।সেজন্য তাদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।স্কুল খোলার পর স্থানীয় প্রধান পাড়ায় শিক্ষালয়ের সময় অঞ্চলের প্রধান এসে রাস্তা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেছিলেন।কিন্তু দূরভাগ্যের বিষয় আজও তা হয়নি।ওই এলাকায় এক বিজেপি নেতা বলেন ২০১৮ সালে ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেনবছর ঘুরলেই ফের পঞ্চায়েত ভোট।গত পাঁচ বছরে উনি কি কি উন্নয়ন করেছেন তা উনি নিজেই বলতে পারবেন না।ওই গ্ৰামের পাশাপাশি কয়েকটা গ্ৰামেরও রাস্তা খারাপ।
যত দিন যাচ্ছে রাস্তা খারাপ থাকায় বেকায়দায় পড়ছেন ওই এলাকায় বাসিন্দারা।এ ব্যাপারে হলদিয়া ব্লকের বিডিও সঞ্জয় দাস বলেন ওই রাস্তা মেরামত করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কিন্তু কবে তা হয়,এখন সেটাই দেখার বিষয়।
No comments