Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং!! ভারতীয় পোস্ট অফিসে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগেে অফিস ঘেরাও বিক্ষোভ

ভারতীয় পোস্ট অফিসে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে বিক্ষোভ
৩৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা,কাঠগড়ায় পোস্টমাস্টার,পোস্ট অফিস ঘেরাও করে জনতার বিক্ষোভ ,কিষাণ বিকাশপত্র (কেভিপি) করার নামে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার ঘটনায় বুধবার পোস্ট অফিস ঘেরাও …

 

ভারতীয় পোস্ট অফিসে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে বিক্ষোভ

৩৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা,কাঠগড়ায় পোস্টমাস্টার,পোস্ট অফিস ঘেরাও করে জনতার বিক্ষোভ ,কিষাণ বিকাশপত্র (কেভিপি) করার নামে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার ঘটনায় বুধবার পোস্ট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা।

অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার


হলদিয়া শিল্পশহর লাগোয়া দেভোগ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কিসমত শিবরামনগর গ্রামের ঘটনা।


এই ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় কিসমত শিবরামনগর পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার সুমিত কুমার মণ্ডল এবং তার সহযোগী ঠিকাকর্মী শিবেন পণ্ডার বিরুদ্ধে।যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

দীর্ঘ এক বছর ধরে এলাকার ৪৫ থেকে ৫০ জন বাসিন্দা ডাকঘরে টাকা জমা রাখার উদ্দেশ্যে কেভিপি স্কিমে দফায় দফায় টাকা জমা দিয়েছেন।

ঠিকা অফিসা শিবেন পন্ডা



বিভিন্ন সময় সেই টাকা স্থানীয় পোষ্টমাস্টারকে ভরসা করে দিয়েছেন।অনেকের কাছে তথ্য-প্রমান রয়েছে।কিন্তু কার্যত সরকারের ঘরে সেই টাকা জমা পড়েনি।স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনু বেরার অভিযোগ,“২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ১লাখ,৩০হাজার টাকা কিসমত শিবরামনগর পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার সুমিত কুমার মণ্ডলের হাতে দিয়েছি।কিন্তু সার্টিফিকেট চাইতে গেলে দীর্ঘ টালবাহানা করেছে তিনি।পরে জানতে পারি কোনো টাকা জমা পড়েনি।পরিস্থিতি বুঝে গা ঢাকা দিয়েছে পোষ্টমাস্টার এবং তার সহযোগী শিবেন পণ্ডা।এখন পোষ্ট অফিসটাই বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে।পোষ্টাল বিভাগের উচ্চস্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা পাওয়া যায়নি।”স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল পড়ুয়া বলেন, “কেভিপি'র জন্য দু'লাখ টাকা দিয়েছি পোষ্ট মাস্টারকে।এখন জানলাম তা নির্দিষ্ট জায়গায় উনি জমা দেননি।খুব সমস্যায় পড়েছি।”একই স্কিমে পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন কিসমত শিবরামনগরের গৃহবধূ সুমিতা মণ্ডল পট্টনায়ক।কোনও টাকা সরকারের ঘরে জমা পড়েনি বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে ডাক বিভাগের তমলুক জোনের সুপারকে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান।তিনি হলদিয়া শোধনাগারের গেটে থাকা পোষ্ট অফিসের দুই অফিসার উৎপলেন্দু মণ্ডল এবং অসিত মণ্ডলের ওপর তদন্তের দায়িত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছি।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে ওই পোস্টমাস্টার আর পোস্ট অফিসে আসেন না। পোস্ট অফিসের পিওন নব কুমার দাস এলেও চিঠি বিলি করে চলে যায়।স্থানীয় পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং থানায় জানিয়েও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আমানতকারীরা।


No comments