ফেসবুকের ছবি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস হলদিয়া পুরসভার বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর আজিজুল রহমানের সঙ্গে দিল্লি হিংসার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসারের ছবি?
দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার শেখে…
ফেসবুকের ছবি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস হলদিয়া পুরসভার বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর আজিজুল রহমানের সঙ্গে দিল্লি হিংসার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসারের ছবি?
দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হিংসার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার শেখের সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল নয়া বিতর্ক। গত হনুমান জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে হলদিয়ার আনসার শেখ। যাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনসার শেখের সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল রহমানের ফেসবুকে ছবি ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
রীতিমতো দুজনে পাশাপাশি কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছে।এই ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে।আনসারের পেছনে কারা আছে তা নিয়ে ধন্দ শুরু হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল রহমান।বর্তমান পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল।স্বাস্থ্য দপ্তর এর দায়িত্বে রয়েছেন আজিজুল। আজ বাইশে এপ্রিল সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তিনি বলেন যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে সেই ছবি তুলেছেন ২০১৯ সালে। তিনি বলেন ২০১৮ সালে জুলাই মাসে মানালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন শিল্পশহর হলদিয়া পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কাউন্সিলর আজিজুল রহমান ও তার ফ্যামিলি এবং ওই এলাকার আরো দুজন যুবক। তিনি বলেন আমাদের দিল্লি থেকে ফ্লাইট ছিল। একদিন আগে পৌঁছে ছিলাম দিল্লিতে রমজান দিল্লিতে জামে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে দেখা হয় আনসার এর সাথে । হলদিয়াতে ঈদের সময় বিগবাজার সামনে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা মারতো সেই সুবাদেই পরিচিত। আমি যখন দিল্লিতে গিয়েছি শুনেছে তাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একসঙ্গে আমরা দুই ফ্যামিলি খাওয়া-দাওয়া করি। বর্তমানে এই ঘটনার সাথে আমাদের এই ছবির কোন মিল নেই। তিনি আরো বলেন নীরব মোদির সাথে বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছবি রয়েছে এবং বিশেষ করে শিল্পশহর হলদিয়া মা এবং মেয়ের পুড়িয়ে মারার ঘটনা বর্তমান ও বিরোধী দলের রাজনীতির নেতৃত্বের সাথে ছবি রয়েছে । তাই ছবি দেখিয়ে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করার মতো এমন কিছু নেই। তিনি হলদিয়ার থেকে ৫ কিমি দূরে কুমারপুরের ওই বাসিন্দা কে চিনতেন কারণ হলদিয়া বিভিন্ন সময়ে ঈদের সময় আস্ত। বিশেষ করে পৌরসভা সিটি সেন্টার মলের সামনে দেখা হতো। তিনি আরও জানিয়েছেন যে কারও সঙ্গে ছবি থাকতেই পারে।তবে ওটা পুরানো ২০১৯ সালের ছবি।বর্তমানে কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি আরো জানান জেলা সভাপতি নির্দেশক্রমে এই সাংবাদিক বৈঠক করলেন। তার ছবি যে বা যারা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করেছেন আমাকে অপদস্থ করছেন তার জন্য আমি আইনি পদক্ষেপ নে।
No comments