স্থায়ী সাক্ষরতা সুনাগরিক তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের অনুপ্রেরণা নিয়ে উপস্থিত শিক্ষারত্ন -শ্রীমতী দে
পশ্চিমবঙ্গের ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যালয়ে বিরামহীন ভাবে প্রতিদিন তার সমস্ত কর্মশক্তি ইচ্ছা শক্তি ও অনুপ্রেরণা নিয়ে উপস্থিত হচ্…
স্থায়ী সাক্ষরতা সুনাগরিক তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের অনুপ্রেরণা নিয়ে উপস্থিত শিক্ষারত্ন -শ্রীমতী দে
পশ্চিমবঙ্গের ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যালয়ে বিরামহীন ভাবে প্রতিদিন তার সমস্ত কর্মশক্তি ইচ্ছা শক্তি ও অনুপ্রেরণা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন স্থায়ী সাক্ষরতা সুনাগরিক তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষারত্ন শ্রীমতী দুর্গারানী দে ।
তার প্রথাগত অবসরের পর হতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হতে এই সময়কালের মধ্যেই প্রতিদিন বিরামহীনভাবে পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া এবং উত্তর 24 পরগনা জেলার অনেকগুলি বিদ্যালয়ে গেছেন।
সাক্ষরতার সাথে আছে তার সুনাগরিক তৈরির বিশেষ পাঠ এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন এর জন্য বিশেষ অনুপ্রেরণা।।
সাথে থাকে তাঁর প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয়কে দেয় স্বামী বিবেকানন্দ শ্রী রামকৃষ্ণ মা সারদা ভগিনী নিবেদিতা এবং যীশুর পুস্তক।
সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাণী পৌঁছে দিতে তাঁর এই বিশেষ প্রচেষ্টা বার্তা।।
উল্লেখ্য অবসরের পরে তিনি নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রীদের পেয়ে প্রথমে নিজের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষরতা এবং অনুপ্রেরণা মূলক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিশেষ পাঠ দেন। তারপর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয়ের সাক্ষরতা সুনাগরিক তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তাঁর সুদীর্ঘকালের স্বপ্ন পূরণে বিরামহীনভাবে প্রতিদিন নুতন নুতন বিদ্যালয় পৌঁছাচ্ছেন।।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিবেশ এবং নতুন নতুন ছাত্র ছাত্রী।
তাদের প্রত্যেকের মধ্যে তিনি রোপন করছেন আশ্চর্য আন্তরিকতা শ্রদ্ধা স্নেহ এবং ভালোবাসার ছোঁয়া।। তার সমস্ত কর্মশক্তি এবং ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি প্রতিটি বিদ্যালয়ে তাঁর কাঙ্খিত কর্মসূচীগুলি রূপায়ন করেন এবং তাদের প্রত্যেকের সাক্ষরতার দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে নিজের নাম এবং বিদ্যালয়ের নাম লেখাতে পারদর্শী করে তোলার স্থায়ী রূপ দান করেন।।
বিজ্ঞান গণিত এবং সুনাগরিক তৈরীর জন্য বিশেষ পাঠ্য পুস্তক উপহার ছাড়াও থাকে পাঠক্রমের প্রবহমানতার জন্য প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যসূচি। সেইসাথে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নতুন নতুন প্রেরণায় আনন্দ সঞ্চার ও সক্রিয় করে তোলার জন্য ছবি আঁকা ছবিতে রং ব্যবহার করা এবং নতুন নতুন শিশু উপযোগী কবিতা ও গান।। বিদ্যালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্ত রকম দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তিশালী রূপ দেয়ার জন্য তিনি বদ্ধপরিকর।।
দেশের আগামী দিনের সুনাগরিক তৈরীর জন্য তাঁর ক্লান্তিহীন শ্রান্তিহীন প্রতিটি মুহূর্ত দিয়ে এই প্রচেষ্টার অনন্য অতুলনীয়।
তার শিক্ষক জীবনের আবিষ্কার মূলক কর্মসূচি এবং সৃজনশীল সময় তিনি দেশ-বিদেশের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন।
নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিদ্যালয়ের কার্যসময় এর আগে-পরে , ছুটির দিনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ছাত্র-ছাত্রীদের এলাকায় ও প্রয়োজনমতো বাড়িতে যান।
নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেতিনি নিবিড় ভাবে যুক্ত আছেন অন লাইন এর সাথে অফলাইনেও।
ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোনো প্রয়োজনে তিনি তাদের বাড়িতে বিলম্ব না করে তার সকল আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টা নিয়ে আগের মতই ছুটে যান।।
তার এই অনন্য প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিদ্যালয় এলাকাবাসী এবং অভিভাবক অভিভাবিকা গ্রহণ সকলেই অনুপ্রাণিত।।
তাঁর দেওয়া পোস্ট গুলি পাঠ করার জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে অভিভাবকরাও নিয়ে যান বিদ্যালয় হতে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সুনাগরিক তৈরীর জন্য অভিভাবকগন ই শিশুর প্রথম শিক্ষক।
সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে শিক্ষিকার স্বপ্নের দেশের নতুন আদর্শ ও মূল্যবোধ যুক্ত সুনাগরিক। তাই তিনি তার অবসর পরবর্তী সময়েও প্রতিটি বিদ্যালয়ের উপস্থিত হচ্ছেন সমস্ত রকম কর্ম শক্তি দিয়ে।।
প্রতিটি বিদ্যালয় তাঁর তীর্থক্ষেত্র, অতি পবিত্র দেবালয়। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী তাঁর কাছে দেব শিশু।
তার কর্মশক্তি ই হল তার সুনাগরিক তৈরীর অর্ঘ্য।।
No comments