উন্নয়নের নামে মেরে ফেলা হচ্ছে গাছসবুজায়নের লক্ষ্যে শিল্পশহর হলদিয়ার রাস্তার ধারে লাগানো হয় গাছের চারা।বছর তিনেক আগে শহরের আজাদহিন্দ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় নিম গাছের চারা লাগানো হয়েছিল পুরসভার তরফে। বর্তমানে সেই চারা গাছ ম…
উন্নয়নের নামে মেরে ফেলা হচ্ছে গাছ
সবুজায়নের লক্ষ্যে শিল্পশহর হলদিয়ার রাস্তার ধারে লাগানো হয় গাছের চারা।বছর তিনেক আগে শহরের আজাদহিন্দ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় নিম গাছের চারা লাগানো হয়েছিল পুরসভার তরফে। বর্তমানে সেই চারা গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে পুরসভারই নিয়োজিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্রের খবর,রাস্তার পাশে লাগানো ওই চারাগুলি লোহা জাল দিয়ে ঘেরা ছিল।কার্যত নজরদারির অভাবেই চারাগুলি নিজেদের মতো করে বেড়েছিল। সম্প্রতি ওই রাস্তার পাশে থাকা একটি খাল সংস্কার করছে পুরসভা। অভিযোগ, সেই কাজে যুক্ত ঠিকাদারের লোকেরা খাল থেকে তুলে আনা কাদা এবং পলি মাটি চারা গাছের উপরেই ফেলে দিচ্ছেন। তাতে গাছগুলি মারা যাচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা।হলদিয়ার পরিবেশ আন্দোলনকারী রামপ্রসাদ দাস বলছেন, “হলদিয়ায় বিভিন্ন রাস্তার ধারে গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে। সম্প্রতি হলদি নদীর তীরে ২২টি পাম গাছ মেরে ফেলা হয়েছে বাড়ি ভাঙার আবর্জনা ফেলে।কোথাও আবার ইমারতি দ্রব্য ফেলে মেরে ফেলা হচ্ছে গাছ।হলদিয়ার রানিচকে উড়ালপুল করতে গিয়ে শতাধিক গাছ মেরে ফেলা হয়েছে” বিষয়টি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন পরিবেশ কৰ্মী সহ অনেকেই।
এভাবে কাদা মাটি ফেলে গাছ মেরে ফেলায় ক্ষুব্ধ বন দফতরের আধিকারিকরাও। বৃহস্পতিবার বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। নন্দকুমারের রেঞ্জার দীপক মণ্ডল বলেন, “এটা খুবই খারাপ কাজ করা হয়েছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে কাদা সরিয়ে লোহার জালের ঘেরা ঠিক করে গাছগুলিকে আগে অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।” সহমত পোষণ করছেন পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডলও। তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পুরপ্রধানও ঠিকাদারকে গাছগুলি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments