Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আবগারি রাজস্ব আদায়ে প্রথম স্থানে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর পাচ্ছে চোলাইমুক্ত জেলার শিরোপা*  ঃপ্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ *পূর্ব মেদিনীপুর* ঃ এক সময় এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খবরের শিরোনামে থাকত চোলাই মদ সেবন করে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবরে। অ…

 


আবগারি রাজস্ব আদায়ে প্রথম স্থানে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর পাচ্ছে চোলাইমুক্ত জেলার শিরোপা*  ঃ

প্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ *পূর্ব মেদিনীপুর* ঃ এক সময় এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খবরের শিরোনামে থাকত চোলাই মদ সেবন করে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবরে। অথচ এবার সেই জেলাই পেতে চলেছে চোলাইমুক্ত জেলার শিরোপা। যার পেছনে রয়েছে আবগারী দফতরের ব্যাপক অভিযান। মাত্র একবছরেই জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০১৩টি মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ২২১ জন।


প্রসঙ্গতঃ ২০১৫সালে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিষমদ খেয়ে মোট ৮৭জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন ২৩জন। বেশ কয়েকজন বিকলাঙ্গ হয়ে গিয়েছেন। তৎকালীন ময়না থানার ওসি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও ভগবানপুরে বিষ মদ কাণ্ডে মারা গিয়েছিলেন ১৯ জন। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪২জন। অভিযুক্তরা এখনও জেলবন্দি। রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে মৃত ও আহতদের পরিবারকে নানা সরকারি স্কিমে যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি চলে অভিযানও।



 

বিষমদের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ সমান তালে চলতে থাকে। পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে চলতে থাকে ধরপাকড় ও মামলা। ২০২০-২১ সালে জেলায় আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে ২৯৮১টি মামলা করা হয়েছিল। ধরা পড়েছিল ১৫৪জন। ২০২১-২২সালে সেটা অনেকটাই বাড়ে। মোট মামলার সংখ্যা ৪০১৩টি। এক বছরে চোলাই কারবারে জড়িত থাকায় ধরা পড়েছে ২২১জন।


সম্প্রতি ৩০০ এমএলের চোলাইয়ের বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার মহুয়া ফ্লেভারযুক্ত ৭০ ডিগ্রি কান্ট্রি স্পিরিট বাজারে এনেছে। দাম ২৮টাকা। আবগারি বিভাগের কর্তাদের দাবি, সরকার কাউকে মদ খাওয়ার কথা বলে না। কিন্তু, চোলাইয়ের প্রতি আসক্তি ছাড়ানোর চেষ্টা নিরন্তর চলছে। তাদের কাছে বিকল্প হিসেবে ৭০ ডিগ্রি কান্ট্রি স্পিরিট গ্রহণযোগ্য হয়েছে। দামও অনেকটাই কম৷ তাই বিক্রি বেড়েছে। বন্ধ হয়েছে চোলাই কারখানা। এর জেরে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর চোলাইমুক্ত জেলার স্বীকৃতি পেতে চলেছে।



 

এই চোলাই বন্ধ করার ফলে ব্যাপক মুনাফাও ঘরে তুলেছে রাজ্য সরকার। ২০২১-২২সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাজ্যের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে যার পরিমান ৮৭৮কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান (৭৪১কোটি টাকা)। পূর্ব মেদিনীপুরের এক্সাইজ সুপার যতনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, বেআইনি চোলাইয়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানের জেরে সাফল্য এসেছে। জেলাকে চোলাইমুক্ত করা গিয়েছে। চোলাই কারবার নিয়ন্ত্রণে থাকায় গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত এক বছরে রাজস্ব আদায়ে বর্তমানে  আমরা রাজ্যে এক নম্বরে রয়েছি।

No comments