অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল এক ছাত্র
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পথ দুর্ঘটনা , সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ রাজ্য সরকারের ঘোষিত স্লোগানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই পথদুর্ঘটনা চলেছে। দীর্ঘ ১৭ মাস স্কুল বন্ধ থাকার পর…
অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল এক ছাত্র
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পথ দুর্ঘটনা , সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ রাজ্য সরকারের ঘোষিত স্লোগানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই পথদুর্ঘটনা চলেছে। দীর্ঘ ১৭ মাস স্কুল বন্ধ থাকার পর স্কুল-কলেজ ধীরে ধীরে খুলেছে এবং তারপরেই বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আর সেজন্যই গত মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক এবং স্কুল কলেজের শুরু এবং শেষ সময় মোতায়েন করা হয়েছিল সিভিক পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় পথ নিরাপত্তা এবং পুলিশি নিরাপত্তার জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদের পথ চলার জন্য সচেতনতা শিবির করা হয়েছিল। জেলা পুলিশের তৎপরতায়, জেলাশাসক,এসডিও, এসডিপিও পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন থানার অফিস ইনচার্জ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাত ধরে রাস্তা পারাপার করা । কিছু দিন যেতেই দেখা গেল সেই স্কুলের সামনে সিভিক পুলিশ আর ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা আর নেই।
শিল্পশহর হলদিয়া বিবেকানন্দ গভর্নমেন্ট স্পনসরড বিদ্যাভবন স্কুল ছুটির সময় সিভিক পুলিশ না থাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য অল্পের জন্য রক্ষা পেল এক সপ্তম শ্রেণীর স্কুলছাত্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়া রানিচক যানজট সামলানোর জন্য ইতিমধ্যে ন্যাশনাল হাইওয়ের পক্ষ থেকে ফাইওভার বানানো হয়েছে। ফ্লাইওভারের উপর থেকে বড় গাড়ি- সব যাওয়ার পরেও নিচ থেকেও বড় ভারি ভারি গাড়ি যাতায়াত করছে। আর স্কুল-কলেজের সামনে পুলিশ ট্রাফিক পুলিশ না থাকার জন্যই বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে। রাজ্য সরকারের সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে।
হলদিয়া বিবেকানন্দ গভর্নমেন্ট স্পনসরড বিদ্যাভবন ৩০ এপ্রিল ছুটির সময় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সুজন কুমার জিতি বাবার নাম। সনৎ কুমার জিতি হাতিবেড়িয়া গান্ধীনগর এর বাড়ি। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় স্কুল থেকে বেরোনোর সময় ট্রাক চলে আসে কোনরকম সাইকেল ফেলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ছাত্রটি।
এলাকার মানুষের দাবী স্কুল কলেজ ছুটির সময় যাতে পুলিশি তৎপরতা থাকে এবং বিশেষ করে স্কুল কলেজের সামনে গাড়ি গতিবেগ নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। তার জন্য বোর্ড লাগানো হয়। রানিচক আপনিকা বাজার কমিটির অন্যতম নেতৃত্ব বুলবুল হাসান বলেন স্কুল কলেজ ছুটির সময় ট্রাফিক পুলিশ অথবা সিভিক পুলিশ দেওয়া দরকার।স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন ন্যাশনাল হাই ওয়ে থাকার জন্য সবথেকে বড় সমস্যা । স্কুল ছুটি এবং শুরুর সময় ট্রাফিক পুলিশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
No comments