নাবালিকার বৌভাতের অনুষ্ঠানে মহিষাদল ব্লকের বিডিও উপস্থিত
মহিষাদল ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় নাবালিকার বৌভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ হল। এই ঘটনাটি ঘটেছে গেঁওখালি ভূঁইয়া চক আন্দুলিয়া গ্রামে। পয়লা বৈশাখ বাংলা ১৪২৯ সাল শুভ নববর্ষের দিন অপ…
নাবালিকার বৌভাতের অনুষ্ঠানে মহিষাদল ব্লকের বিডিও উপস্থিত
মহিষাদল ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় নাবালিকার বৌভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ হল। এই ঘটনাটি ঘটেছে গেঁওখালি ভূঁইয়া চক আন্দুলিয়া গ্রামে। পয়লা বৈশাখ বাংলা ১৪২৯ সাল শুভ নববর্ষের দিন অপ্রাপ্তবয়স্ক পাত্র-পাত্রী দুজনেই কোন এক মন্দিরে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের ৫ দিন পরে অর্থাৎ গতকাল ২০এপ্রিল বুধবার রাত্রিতে নাটশাল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলিয়া গ্রামে বাসিন্দা গোপাল নায়েকের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান জাকজমকের সহিত অনুষ্ঠিত হয়। বাড়িতে মাইক ও বক্সে নহবতের সুর বাজছে। আত্মীয়স্বজনদের আনাগোনা, হাসি হুল্লুর চলছে বৌভাতের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।আলোয় আলোকিত সারা বাড়ি। হঠাৎ ফোন পুলিশসহ মহিষাদল ব্লক এর আধিকারিকরা বাড়িতে আসছেন নববধূকে থানায় ধরে নিয়ে যাবার জন্য। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে থাকেন ছেলের মা শেফালী নায়েক এবং মেসো বাবু। বৌভাতের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও বনমালী হালদার ,মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন ও মহিষাদল ব্লক এর গণশিক্ষা সম্প্রসারণ আধিকারিক দেবব্রত বিশ্বাস। জয়েন্ট বিডিও বনমালী হালদার জানিয়েছেন , পাত্র-পাত্রী দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বিবাহ হওয়ার আইনগত দিক থেকে বয়স এখনও পর্যন্ত হয় না। সরকারের বিবাহ আইনকে তোয়াক্কা করে পাত্র-পাত্রী দুজনে কোন এক মন্দিরে গিয়ে বিবাহ হয়। পাত্রী গেঁওখালি হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির অধ্যায়নরত ছাত্রী। বাড়ি বেত কুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুকলালপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত বিবেকানন্দ মন্ডল ও মায়ের নাম সন্ধ্যা মন্ডল। তিনি আরও জানান নাটশাল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল নায়েকের ছেলে সুজিত নায়েকের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। গতকাল ২০ এপ্রিল রাত্রিতে বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। ছেলের মা শেফালী নায়েক এবং মেসো বাবুকে মহিষাদল থানায় তুলে আনা হয়। পরে নববধূসহ পাত্র মহিষাদল থানায় উপস্থিত হয়। থানা সূত্রে খবর দু'জনকেই হলদিয়া মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। গণশিক্ষা সম্প্রসারণ আধিকারিক দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে নানা রকম ভাবে আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও তারা সরকারের আইন কানুন মানছেন না। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় বিয়ে করলে বিবাহ অনুষ্ঠানের খরচের টাকা ও দিচ্ছে সরকার।
No comments