মারিশদায় জাতীয় সড়কে ডাকাতি
নিরাপদ নয় জাতীয় সড়ক৷ পুলিশের পোশাক মানেই যে পুলিশ সেই নিশ্চয়তাও আর রইল না৷ পুলিশের পোশাকে স্করপিও গাড়িতে করে পিছু ধাওয়া করে কেরালাগামী একটি লরি থামিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার কাজু লুঠ করল দুষ্কৃতীরা৷ পর…
মারিশদায় জাতীয় সড়কে ডাকাতি
নিরাপদ নয় জাতীয় সড়ক৷ পুলিশের পোশাক মানেই যে পুলিশ সেই নিশ্চয়তাও আর রইল না৷ পুলিশের পোশাকে স্করপিও গাড়িতে করে পিছু ধাওয়া করে কেরালাগামী একটি লরি থামিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার কাজু লুঠ করল দুষ্কৃতীরা৷ পরে তদন্তে নেমে ভিন রাজ্যের এক যুবক সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ চুরি যাওয়া কাজু উদ্ধার করতে মারিশদা থানার তদন্তকারী দল রওনা দিয়েছে কেরালা৷
ধৃতেরা হল, কাঁথির কৃষ্ণচক গ্রামের আহমেদ আলি শাহ (বাবর), উত্তর দারুয়া এলাকায় বিশ্বজিৎ দাস ও তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রিন্স রোল্যান্ড জেসে। শনিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে কয়েকজনের ব্যবসায়ী প্রায় ৮০০ টিন কাজু নিয়ে একটি ১২ চাকা লরিতে করে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দিচ্ছিল কাজু বোঝাই লরিটি। জাতীয় সড়কে মারিশদা ভাইটগড়ে কাছে লরিটি পিছনে ধাওয়া করে দুটি স্করপিও। এরপর লরিটিকে আটকায় স্করপিওতে থাকা দুষ্কৃতিরা।
স্করপিওতে থাকা ব্যক্তিরা পুলিশের জলপাই পোশাক পরেছিল। লরি চালক ও খালাসিকে বন্দুক দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে চলে যায়। চালক ও খালাসিকে বেঁধে রেখে লরি থেকে ১০০ টিন কাজু নামিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা৷ অন্য গাড়িতে করে কেরালা পাচার করা হয় সেই কাজু৷ চুরি যাওয়া কাজু বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা বেশি। এরপর লরি চালক কাঁথির বসন্তিয়া বাসিন্দা সেক সবুজ মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একটি গাড়িতে কাজু লোড করার সময় গাড়ির নম্বরটি দেখে ফেলে ওই লরি চালক। সেই লরির নম্বর ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন।
তদন্তে নেমে প্রথমে একজনকে আটক করে পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের পাকড়াও করে পুলিশ৷ মারিশদা থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
No comments