মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয়বারের জন্য নয়াচরে এসে মিটিং করলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্য
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয়বারের জন্য নয়াচরে এসে মিটিং করলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তি…
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয়বারের জন্য নয়াচরে এসে মিটিং করলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্য
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয়বারের জন্য নয়াচরে এসে মিটিং করলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তিনি একই সঙ্গে মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিবও। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজি ও জেলা মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন অত্রি ভট্টাচার্য নয়াচরের মোট ব্যবহারযোগ্য এলাকায় মাছ চাষের উন্নয়ন, মৎস্যজীবীদের সংখ্যা ও মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করেন। নয়াচরে মাছ চাষে কীভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন করা যায় সেবিষয়ে আলোচা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, নয়াচরে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করা হবে। এখানে বেশ কয়েকটি চ্যানেল তৈরি করে স্লুইস গেট বসিয়ে নদীর জল এনে মাছ চাষ করা হবে। নয়াচর ফিশিংহাবে মাছ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য সহায়ক শিল্প ঘিরে বহু মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে এখানকার মৎস্য সমবায়গুলিকে শক্তিশালী করতে আরও মানুষকে যুক্ত করা হবে এর সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ফেব্রুয়ারি হলদিয়া এসে নয়াচরের মৎস্যজীবীদের দাবিদাওয়া ও সমস্যা নিয়ে হলদিয়া ভবনে বৈঠক করেন নবান্নের যৌথ প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অত্রি ভট্টাচার্য। ওই বৈঠকে নয়াচরে সমবায়ের অধীন মাছচাষিরা সোসাইটির অধিকার সরকারিভাবে বজায় রাখার দাবি জানান। একই সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়ন, দ্রুত জেটি তৈরি, মাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং মেশিনের সাহায্যে পুকুর ও ভেড়ি সংস্কারের দাবি জানানো হয়। নয়াচরে ফিশিং হাব কাম ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেজন্য গত ২৪নভেম্বর প্রথমবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে নয়াচর দ্বীপ পরিদর্শন করেন অত্রি ভট্টাচার্য।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নয়াচরে বর্তমানে মোট জমির পরিমাণ ৮৩৪৩একর। এরমধ্যে কলকাতা বন্দরের জমি রয়েছে দেড় হাজার একর। প্রায় সাড়ে ৬হাজার একর জমি রাজ্য সরকারের ১নম্বর খতিয়ানের জমি। নয়াচরকে বর্তমানে ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফিশিং হাবের জন্য প্রায় ৫হাজার একরের একটি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, নয়াচরে প্রায় ৪০০একর জায়গায় ৩১৬টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। বাম আমলে মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে খনন করে ১৩টি সমবায়কে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী ফিশিং হাব ঘিরে নয়াচরে ইকো ট্যুরিজম, সোলার এনার্জি ফার্ম গড়ার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। এজন্য গত ডিসেম্বরে ড্রোনের সাহায্যে সমীক্ষা করে বিভিন্ন দপ্তরের পরিকল্পনা একত্রিত করে একটি ‘কনসলিডেটেড রিপোর্ট’ ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছে জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াচরের উন্নয়নের জন্য প্রথমে দক্ষিণে বাবলাতলা ও খেজুরতলা এলাকা থেকে উত্তরে মোহনা গেস্ট হাউস পর্যন্ত ৬-৭কিলোমিটারের একটি ১৫মিটারের চওড়া রাস্তা তৈরি করা হবে। রাস্তা ছাড়াও নয়াচরে আধুনিক মাছ চাষের জন্য ফিশারি দপ্তরের অধীনে একটি ল্যাবরেটরি তৈরি হবে।
No comments