রূপসী বাংলায় বসন্তিকা উৎসব
কবি শুভশ্রী মাইতি বলেন সুতাহাটা থানা পেরিয়ে একটু এগোতেই বোর্ডের ওপর বড় বড় হরফে লেখা ‘রূপসী বাংলা পাড়া'। পাড়ার নাম রূপসী বাংলা। চোখে পড়তে একঝলক জীবনানন্দীয় বাতাস বয়ে গেল যেন বাসন্তিক রোদ ভেদ করে। ঢাল…
রূপসী বাংলায় বসন্তিকা উৎসব
কবি শুভশ্রী মাইতি বলেন সুতাহাটা থানা পেরিয়ে একটু এগোতেই বোর্ডের ওপর বড় বড় হরফে লেখা ‘রূপসী বাংলা পাড়া'। পাড়ার নাম রূপসী বাংলা। চোখে পড়তে একঝলক জীবনানন্দীয় বাতাস বয়ে গেল যেন বাসন্তিক রোদ ভেদ করে। ঢালাই রাস্তা ধরে একটু হেঁটে গেলেই...না, ধানসিঁড়ি নদী, হেমন্তের মাঠ নেই বটে, তবে ডাল ভরা পলাশ ফুটিয়ে আঁচলের খুঁটে রঙীন বসন্তের চাবিগোছা বেঁধে আমাদেরই অপেক্ষায় বসে আছে তন্দ্রাদির আদর ছলছল বাড়িটি। কাছে যেতেই বাগানফুলেরা পাপড়ি নাড়িয়ে, ছোট-বড় গাছেরা পাতা দুলিয়ে সে কি অভ্যর্থনা আর আপ্যায়ণ। ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিলেন তন্দ্রাদি, যেন আত্মার আত্মীয়...কবেকার। তন্দ্রাদি মানে তন্দ্রা দাস... অভিনয় ও নাট্যচর্চা যাঁর সাহিত্যজীবনের ধ্যানজ্ঞান। নবম শ্রেণীতেই মঞ্চস্থ হয় যাঁর লেখা নাটক। যাঁর ঝুলিতে তিন তিনটি নাটকের বই যা আমাদের সমকালকে ভাবতে, বুঝতে সাহায্য করে নতুন ভাবে।
তাঁরই আয়োজনে ঘরোয়া সাহিত্যসভা তাঁর বাড়ির উঠোনে। নাটক, অভিনয়, গান, কবিতায় জমজমাট। উপহার পেলাম হাতে বানানো পলাশের রাখি, ডায়েরী, কলম আর তাঁর লেখা নাটকের বই। এক অক্ষরকর্মীর আর এক অক্ষরকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া সবথেকে সুন্দর উপহার। আশ্চর্য অক্ষরবসন্তের গন্ধে তখন ম' ম' করছে ছাদে পাতা অতিথিবৎসল খাওয়ার টেবিল থেকে উঠোনে জমা হওয়া প্রতিটি সাহিত্যসাথী, দর্শক, শ্রোতাদের হৃদয়। আবির ছিল না কোথাও এ বসন্তোৎসবে, তবু ভালোবাসার ফাগুয়া হরেক রঙে ভরিয়ে তুলছিল আমাদের মনের বাতাস। মনের জমির সীমানা বাড়ছিল খুব...আকাশেরও...
No comments