Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলণের জন্য নজরদারি চালাবে

বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলণের জন্য নজরদারি চালাবে
ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের নজরদারি চালাতে বিশেষ অ্যাপ মাটির তলায় ডেসিমিটার নামে বিশেষ ধরনের সেন্সর লাগিয়ে অ্যাপ চালু করছে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত জল উত্তোলন এবং সরকারি প…

 


বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলণের জন্য নজরদারি চালাবে
ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের নজরদারি চালাতে বিশেষ অ্যাপ মাটির তলায় ডেসিমিটার নামে বিশেষ ধরনের সেন্সর লাগিয়ে অ্যাপ চালু করছে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত জল উত্তোলন এবং সরকারি পরিকল্পনার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মূলত উপকূল এলাকায় নোনাজল রুখতে নয়া পদ্ধতি চালু করছে রাজ্য সরকার। ইন্দ্রা এলাকায় অতিরিক্ত জল তোলার ফলে বৃষ্টির জলে জল মিশে বিপদ বাড়ছে বলে সতর্ক করছেন। হলদিয়া অতিরিক্ত জল তোলার ফলে ঘটবে বৃষ্টির জল নোনা জলে মিশে বিপদ বাড়ছে বলে সতর্ক করছেন এমনই কথা জানান সুইট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রলজি বিজ্ঞানীরা ।

আজ, মঙ্গলবার হলদিয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, শিল্প সংস্থার আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে জলদিবসের কর্মশালা হয়। উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল  এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গন। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।

 


 ভূ-গর্ভস্থ জল উত্তোলনে নজরদারি চালাতে মাটির তলায় নেস্টেড পিজোমিটার নামে বিশেষ ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে অ্যাপ চালু করছে রাজ্য সরকার। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি ৬ঘণ্টা অন্তর রাজ্যের যে কোনও অঞ্চলের মাটির তলার জলস্তর কী অবস্থায় রয়েছে তা জানা যাবে। একইসঙ্গে রাজ্যের উপকূল এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জলস্তরে লোনাজলের চিত্র পরিষ্কার হবে। সেন্সর লাগানো ডিজিটাল ওয়াটার লেভেল রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার প্রশাসন জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেবে। দিনের কোন সময়ে কৃষিক্ষেত্রে, কখন শিল্প সংস্থাকে এবং পঞ্চায়েত বা পুর এলাকায় জল সরবরাহ করা দরকার, সেই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সুবিধে হবে। মঙ্গলবার হলদিয়ায় এসে এখবর জানান স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডাইরেক্টরেটের(সুইড) কর্তা ও বিজ্ঞানীরা। এদিন এক কর্মশালায় তাঁরা হলদিয়ার পঞ্চায়েত, প্রশাসন ও শিল্প সংস্থার আধিকারিকদের ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দেন।

এদিন বিশ্ব জলদিবস উপলক্ষে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও লাগোয়া গ্রামীন এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জল ব্যবহারকারীদের নিয়ে মতবিনিময় কর্মশালা হয় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক, সুইড এবং রুরকির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হাইড্রোলজির যৌথ উদ্যোগে। সুইডের ডিরেক্টর অরিন্দম ঘোষ, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার(এগ্রি-ইরিগেশন) সুব্রত হালদার এদিন হলদিয়ার জলস্তর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সুইডের বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিল্পাঞ্চল ও লাগোয়া ব্লক এলাকায় যথেচ্ছভাবে মাটির তলা থেকে জল তুলে নেওয়ার ফলে হু হু করে জলস্তর নামছে। গত ৩০বছরে ১৩-১৪মিটার জলস্তর নেমে গিয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ জলে লোনাজল মিশছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা এখনই সতর্ক না হলে আগামীতে মিষ্টিজলের হাহাকার পড়বে। এজন্য তাঁরা মাটির তলা থেকে জল তোলা কমিয়ে নদীরজল বা সারফেস ওয়াটার পরিশুদ্ধ করে ব্যবহারের উপর জোর দেন। শিল্প সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি অফিস ও পঞ্চায়েতগুলিকে বৃষ্টির জল ব্যবহার বা রেন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ে জোর দিতে পরামর্শ দেন।

সুইডের বিশেষজ্ঞ সুব্রতবাবু জানান, সুইড জলস্তরের অনলাইন নজরদারির জন্য রিয়েল টাইম গ্রাউন্ড ওয়াটার ডেটা মনিটরিং সিস্টেম নামে একটি আধুনিক মডেল তৈরি করছে। এখানে নেস্টেড পিজোমিটার একটি বিশেষ ধরনের ডিভাইস বা যন্ত্র যা প্রতিটি অঞ্চলে গভীর নলকূপে লাগানো থাকবে। টেলিমেট্রি সিস্টেমে রাজ্যের যেকোনও অঞ্চলের তথ্য উঠে আসবে। এখন আপাতত রাজ্যের উপকূল এলাকার ব্লকগুলিতে একাজ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের উপকূল এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগণা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ৫৯টি ব্লকে এই টেলিমেট্রি সিস্টেম চালু করার কাজ চলছে। কোস্টাল এলাকায় তিন স্তরে নেস্টেড পিজোমিটার বসিয়ে নোনাজলের মাত্রা মাপা হচ্ছে। হলদিয়ার দেউলপোতা ব্রিজ, বাড়বাসুদেবপুর, ভবানীপুর মিলন বাজার, হাতিবেড়িয়া যাদবচক, টাউনশিপ সিপিটি হাসপাতাল ও দুর্গাচক হাসপাতাল এলাকায় মোট ৬টি জায়গায় সুইড নলকূপে এই ধরনের নেস্টেড পিজোমিটার বসাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে এইকাজ শেষ হবে।

সুইডের এই প্রকল্পে সহায়তা করছে রুরকির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হাইড্রোলজি এবং নেদারল্যান্ডের একটি সংস্থা। রুরকির বিজ্ঞানী সন্তোষ মুরলিধর পিঙ্গলে এদিন জানান, সারা দেশেই উপকূল এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জলে নোনাজলের প্রভাব বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বড় প্রভাব রয়েছে এর উপর। এক্ষেত্রে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর তীরবর্তী জেলাগুলিতে লোনাজলের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষ করে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ২০০০সালে সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার অথরিটির তরফে এই এলাকাকে নোটিফায়েড এলাকা ঘোষণার পর বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু তারপরও এখার বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে বা পঞ্চায়েত এলাকায় আরও সচেতনতার দরকার।



No comments