Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৭৯ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের পরিষেবায় খুলে দেওয়া হয়েছিল

৭৯ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের পরিষেবায় খুলে দেওয়া হয়েছিলআজ থেকে ঠিক ৭৯ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের পরিষেবায় খুলে দেওয়া হয়েছিল।উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর …

 


৭৯ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের পরিষেবায় খুলে দেওয়া হয়েছিল

আজ থেকে ঠিক ৭৯ বছর আগে ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের পরিষেবায় খুলে দেওয়া হয়েছিল।উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কথা ও আলোয় ( সাউন্ড আর লাইট )এই ব্রিজকে আলোকমালায় সজ্জিত করা হয়।

হুগলি নদীর উপর দিয়ে ৭০৫ মিটার লম্বা বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত এই সেতু কলকাতা ও হাওড়া দুই শহরের যোগসূত্র রচনা করেছে। বিশ্বের অন্যতম এই নিদর্শন হাওড়া ব্রিজকে কলকাতার গেটওয়ে বলা হয়ে থাকে।

প্রথম অবস্থায় ১৮৭৪ সালে সমাপ্ত এ ব্রিজটি তখন পর্যন্ত বাংলা ও ভারতে তৈরি সর্ববৃহৎ ভাসমান কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হতো। নির্মাণের সময় ১৮৭৪ সালের ২০ মার্চের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্রিজের একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়। ঈগেরিয়া নামের একটি স্টিমারের নোঙর ছিঁড়ে ব্রিজের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে এবং ব্রিজের তিনটি পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ডুবে যায়। এর ফলে ব্রিজ অবকাঠামোর ২০০ ফুট স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ পুনর্নির্মাণ করে ১৮৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। 

বিশ শতকের প্রথমদিকে তৎকালীন কলকাতা বন্দরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার জন স্কটের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রথমেই একটি নতুন ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯২২ সালে বাংলা সরকার নতুন হাওড়া ব্রিজ কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২৬ সালে নতুন হাওড়া ব্রিজ আইন পাশ হয় এবং কলকাতা বন্দর কমিশনারদের নতুন হাওড়া ব্রিজ কমিশনার হিসেবে ব্রিজ তৈরির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তারা ক্লিভল্যান্ড ব্রিজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ দেয়। ১৯৩৬ সালে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয় এবং ১৯৪২ সালে তা শেষ হয়। ১৯৪৩ সালে নতুন হাওড়া ব্রিজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। নতুন ব্রিজটি তৈরির জন্য ২৬,৫০০ টন স্টিল ব্যবহূত হয় এবং এটি তৈরি করতে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।

নতুন হাওড়া ব্রিজ একটি ঝুলন্ত ও ভারসাম্যময় বহির্বাহু সেতু। ব্রিজটি ৭০৫ মিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া। ব্রিজটির উভয় পার্শ্বে ১৫ ফুট প্রশস্ত পায়ে চলার পথ আছে। যানবাহন চলাচলের পথটি ৭১ ফুট চওড়া।

নতুন হাওড়া ব্রিজটি নির্মাণ জগতের বিস্ময়রূপে চিহ্নিত। প্রতিদিন এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ যানবাহন এবং সম্ভবত ২ লক্ষাধিক লোক চলাচল করে। 

শক্তপোক্ত এই ব্রিজটি ব্রেথওয়েট, বার্ন ও জেসপ কন্ট্রাকশনের নির্মাণ করেছিল। চারিদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে যখন বিভিন্ন ব্রিজের স্থায়িত্ব ও গঠনশৈলী নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সময় আজও হাওড়া ব্রিজ তার যৌবনের রূপ নিয়ে কোলকাতার শোভা বর্ধন করে চলেছে। নোবেল জয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এই ব্রিজের নতুন নামকরণ করা হয়েছিল "রবীন্দ্র সেতু"।


তথ্য সূত্র-- বাংলা উইকিপিডিয়া।

ছবি নেট থেকে সংগৃহীত।

No comments