দরিদ্র, মানসিক ভারসাম্যহীন পরিবারের পাশে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি
দরিদ্র পরিবার ,বৃদ্ধা মা মানসিক ভারসাম্যহীন, ছেলে মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী।বাঁচতে হবে তবু মানসিক প্রতিবন্ধকতাকে জীবনের সঙ্গী করেই রান্নাবান্না সহ সংসারের ক…
দরিদ্র, মানসিক ভারসাম্যহীন পরিবারের পাশে পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি
দরিদ্র পরিবার ,বৃদ্ধা মা মানসিক ভারসাম্যহীন, ছেলে মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী।বাঁচতে হবে তবু মানসিক প্রতিবন্ধকতাকে জীবনের সঙ্গী করেই রান্নাবান্না সহ সংসারের কাজ করে চলেছে নন্দ পরিবারের অসহায় তিন সদস্য।স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবনযাপন চলাফেরা হারিয়ে গিয়েছে জীবন থেকে।চলাফেরা করতে গেলেই বার বার পড়ে যায়, কোনোরকম কোনোকিছুকে অবলম্বন করে উঠে দাঁড়ায় ছেলে সুজয়। বয়স বেড়ে ওঠার সাথে সাথেই বৃদ্ধ মা সহ ছেলে মেয়ে হারিয়েছে শারীরিক ক্ষমতা।পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী গ্রামের নন্দ পরিবারে মঞ্জরী দেবীর আর তেমন কেউ নেই রোজগার করে সংসার প্রতিপালন করার মতো। এমনিতেই সামান্য সরকারের দেওয়া রেশনটাও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ারও মতো কেউ নেই, তাঁর ওপর তিন চার মাস আগে আঁধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও কিন্তু আঙ্গুলের টিপছাপ না মেলায় রেশন সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাঁদের। দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হলেও তাঁদের দুয়ারে পৌঁছয়নি চাল ডাল। স্বাভাবিক মানুষের মতো তাঁদের জীবন থেকে হারিয়েছে স্বাভাবিক ছন্দ।এই খবর পাওয়ার পরেই সোমবার অসহায় মঞ্জরী নন্দর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের হাতে ৯০কেজি চাল সহ আলু, পেঁয়াজ,মুড়ি সহ ভূষিমাল বাজার তুলে দেন পাঁশকুড়া ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হানিফ মহম্মদ।প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় রেশনের।৩ মাসের রেশন সামগ্ৰীও খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকেও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সহ সভাপতি।আগামী দিনেও এই পরিবারের পাশে তিনি থাকা ও সমস্ত রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।এমনকি এবার থেকে প্রত্যেক বারেই রেশনদ্রব্য পাবে তাঁরা।
No comments