৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন আউটার টার্মিনাল বা ওটি- টু জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল বাথিং শুরু হল
হলদিয়া বন্দরে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন আউটার টার্মিনাল বা ওটি- টু জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল বাথিং শুরু হল
বু…
৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন আউটার টার্মিনাল বা ওটি- টু জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল বাথিং শুরু হল
হলদিয়া বন্দরে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন আউটার টার্মিনাল বা ওটি- টু জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল বাথিং শুরু হল
বুধবার থেকে হলদিয়া বন্দরে ৭০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন আউটার টার্মিনাল বা ওটি-টু জেটিতে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল বার্থিং শুরু হল। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ‘স্লোম্যান হেরা’ নামে একটি ক্যারিবিয়ান জাহাজ ওই টার্মিনালে এসে নোঙর করে। ১৪৫মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটি মূলত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগুয়া এন্ড বারবুডার একটি লিকুইড কার্গো পরিবহণকারী ট্যাঙ্কার। চেন্নাইতে পণ্য নামিয়ে এদিন জাহাজটি একটি ভোজ্যতেল সংস্থার ১০হাজার টন কাঁচামাল নিয়ে হলদিয়া বন্দরে পৌঁছয়। ভোজ্যতেল, প্যারাজাইলিন, বিউটেন, বেঞ্জিনের মতো লিকুইড কেমিকেল, এলপিজি পরিবহণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই নয়া পরিকাঠামো তৈরি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ডক বেসিনের বাইরে হুগলি নদীতে এক নম্বর অয়েল জেটির পাশেই ওটি-টু নির্মাণ করা হয়েছে। ডকের বাইরে হওয়ায় বন্দরে আসা জাহাজের ‘ওয়েটিং টাইম’ কমবে অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ জাহাজগুলিকে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য গচ্চা দিতে হবে না। ফলে হলদিয়া সহ রাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলি লাভবান হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয় মহাপাত্র বলেন, ওটি-টু’তে পণ্যবাহী জাহাজের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। প্রথম ট্রায়ালে আপাতত কোনও ধরনের সমস্যা হয়নি। এদিন ইমামি বায়োটেকের ভোজ্যতেল এই জেটিতে নামানোর কাজ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে এই জেটিতে পণ্য পরিবহণ শুরু করবে বন্দর। এটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন জাহাজ মন্ত্রী। তিনি জানান, ডক বেসিনে ঢোকার লকগেটের উপর চাপ কমাতেই কয়েক বছর আগে লিকুইড কার্গো হ্যান্ডেলিং ডকের বাইরে আনার সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেজন্য অয়েল জেটির পাশেই নতুন টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন জেটির পণ্য ওঠানামার ক্ষমতা বছরে ২মিলিয়ন টন। এখানে ভোজ্যতেলের পাশাপাশি বিভিন্ন পেট্ররাসায়নিক সংস্থা লিকুইড কেমিকেল হ্যান্ডেলিং করবে বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই টার্মনাল থেকে কারখানা পর্যন্ত দুটি সংস্থার পাইপলাইন পাতা হয়েছে। পেট্রকেম, এমসিপিআই মাস তিন চারেকের মধ্যে লাইন পাতবে। এলপিজি হ্যান্ডেলিংয়ের জন্যও ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। এজন্য বন্দরের নয়া রিমোট সেন্সিং অটোমেটিক ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমের মধ্যে এই টার্মিনালকে যুক্ত করা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলদিয়া বন্দরে ভোজ্যতেল আমদানির পরিমান বাড়ছে। বর্তমানে ২মিলিয়ন টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়। এছাড়াও এলপিজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে আসামের ব্রহ্মপুত্র পেট্রকেমিকেলের সঙ্গে বন্দরের চুক্তি হয়েছে। তারা হলদিয়া দিয়ে ন্যাপথা আমদানি করবে। সেক্ষেত্রে নতুন টার্মিনাল কার্যকরী হবে। বন্দর বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলদিয়া বন্দরে নাব্যতা সমস্যার পাশাপাশি প্রায় ৪০বছরের পুরনো নড়বড়ে লকগেটও একটি বড় সমস্যা। ভোজ্যতেল বা কেমিকেলের ছোট জাহাজগুলি লকগেটের মাধ্যমে যাতায়াত করলে বেশি পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেজন্য ডকের বাইরে ওটি-টু তৈরি হয়েছে। এই টার্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনামাফিক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ডক বেসিনে বাড়তি পণ্য নিয়ে জাহাজ ঢুকতে পারবে। বন্দরে আদানিরা নতুন করে ৩০০কোটি টাকা বিনিয়োগে মেকানাইডজড জেটি তৈরি করছে। সেজন্য বিনিয়োগের আগে তারা ডক বেসিনে জাহাজে বাড়তি পণ্য আনার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চাইবে।
No comments