Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তমলুকে বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র

তমলুকে বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র
প্রদীপ কুমার মাইতি,প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠানোর পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত তমলুক পুরসভার…

 


তমলুকে বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র


প্রদীপ কুমার মাইতি,প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠানোর পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত তমলুক পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী তিনটি টার্মের কাউন্সিলার ভানুপদ সাহাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। ওই প্রবীণ নেতার আরও পাঁচ সঙ্গীকেও দল থেকে এদিন বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তমলুকে বিধায়ক কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ভানুপদবাবু তমলুক পুরসভার একমাত্র নির্দল কাউন্সিলার। দলের পক্ষ থেকে বারবার তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও দলের পক্ষ থেকে লিফলেট ছাপিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামার আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সাড়া দেননি ওই প্রবীণ কাউন্সিলার। বুধবার সৌমেনবাবু নিজে তাঁর বাড়িতে হাজির হন। তারপরও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। বাধ্য হয়ে ভানুপদবাবু এবং তাঁর সঙ্গীদের দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।

এদিন সৌমেনবাবু বলেন, ভানুপদবাবুকে এবার দল মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু, তিনি তৃণমূলের নাম নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। তাঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ থাকবে না। তাঁর আরও পাঁচ সহযোগী এতদিন তৃণমূল করতেন। এখন নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। তাই ওই পাঁচ সঙ্গীকেও বহিষ্কার করা হল। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পরামর্শে ও দলের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পুরসভার অন্য কোনও ওয়ার্ডে এধরনের নির্দল প্রার্থী নেই। তমলুক পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের প্রার্থী বিমলচন্দ্র ভৌমিক। ১৫ফেব্রুয়ারি সৌমেনবাবু তাঁর সমর্থনে ওই ওয়ার্ডে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে ভানুপদবাবুকে ২৪ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ১৫১জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে কেউ জিততে পারেননি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সৌমেনবাবু ওই নির্দল প্রার্থীকে দলের হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি তাতে সাড়া দেননি।

 বিশদ জানতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/iIBZShMt-9w

তমলুক পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডে দু’বারের তৃণমূল কাউন্সিলার রঞ্জিতা জানা এবার টিকিট পাননি। অভিমানে রঞ্জিতাদেবী ও তাঁর ছেলে কুশধ্বজ দু’জনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যদিও সেচমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সেইসঙ্গে ১০নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম কনভেনার হিসেবে রঞ্জিতাদেবী ও ওয়ার্ড সভাপতি পঞ্চানন খামরুইকে নিযুক্ত করা হয়। দু’জনেই ওই ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী পার্থসারথি মাইতির হয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছেন। ২০১৫ সালে তমলুক পুরসভায় ৮৫ জন প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে একঝাঁক নেতা নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন। এবার প্রার্থী সংখ্যা অনেকটাই কমে ৬৭। শাসক দলের প্রার্থী না পেয়ে একমাত্র ৪নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া অন্য কোথাও নির্দল প্রার্থী নেই। তাই ৪নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি ছিল। বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের মধ্যে দিয়ে সেই অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলল জোড়াফুল শিবির।

No comments