মুকুল রায় এখন বিজেপির বিধায়ক জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষমুকুল রায় এখন বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে পর্যাপ্ত ও অকাট্য প্রমাণ জমা পড়েনি। তাই সংবিধানের দশম তফসিল মোতাবেক তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিজেপি পরিষদীয়…
মুকুল রায় এখন বিজেপির বিধায়ক জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ
মুকুল রায় এখন বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে পর্যাপ্ত ও অকাট্য প্রমাণ জমা পড়েনি। তাই সংবিধানের দশম তফসিল মোতাবেক তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিজেপি পরিষদীয় দল তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা আবেদন খারিজ করা হল। শুক্রবার এই মর্মেই মুকুলের দলবদল ইস্যুতে তৈরি বিতর্কের ইতি টানলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক দল তৃণমূল অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তকে সঠিক ও উপযুক্ত বলে বর্ণনা করেছে। তবে তাঁর এই নিদান নিয়ে প্রত্যাশিতভাবে অসন্তুষ্ট বিজেপি শিবির। তারা বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে। প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার এবিষয়ে শীর্ষ আদালতে চলা মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর মুকুলের পাশাপাশি বাকি চার ‘দলবদলু’ বিজেপি বিধায়কেরও ভবিষ্যত নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরের হয়ে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল বিপুল আসনে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করে। তারপরই তিনি শাসক দলের সদর দপ্তরে গিয়ে মমতা সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন বলে অভিযোগ। যদিও মুকুল এবং তাঁর আইনজীবীরা বরাবরই বলে এসেছেন, স্রেফ রাজনৈতিক সৌজন্যে তিনি সেদিন তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে দলবদলের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তাঁর এই অবস্থানকে সামনে রেখে পরবর্তীকালে বিধানসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে মনোনীত করেন অধ্যক্ষ। তবে অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানায় বিজেপি। পাশাপাশি মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য বিমানবাবুর কাছে নিয়ম মেনে আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা। মাঝে এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালত মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিমানবাবুকে পরামর্শ দেয়। গত জুলাই থেকে এব্যাপারে এক ডজন শুনানি হয়েছে দু’পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে। শেষ পর্যন্ত এদিন শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ।
রায় দানের পর বিমানবাবু বলেন, সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী দলবদলের বিষয়ে আনা অভিযোগের স্বপক্ষে অকাট্য ও পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট বিধায়ককে চরম শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আবেদনকারীর তরফে তা জমা দেওয়া হয়নি। তাই ওই আবেদন খারিজ করা হয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, অধ্যক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত সকলের মেনে নেওয়া উচিত।
No comments