পরিকাঠামো উন্নয়নে কাউন্সিলাদের পাঁচটি করে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষবন্দর শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাউন্সিলাদের পাঁচটি করে উন্নয়ন প্রস্তাব দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নিকা…
পরিকাঠামো উন্নয়নে কাউন্সিলাদের পাঁচটি করে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ
বন্দর শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাউন্সিলাদের পাঁচটি করে উন্নয়ন প্রস্তাব দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নিকাশি, পানীয় জল, পথবাতি, রাস্তা সহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মহিলাদের স্বনির্ভরতার উপর জোর দিতে প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে এসএইচজি অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার তৈরি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি পুর পারিষদের মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য মার্কেটিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুর পারিষদের বোর্ড মিটিংয়ে শহরের শ্মশান, কবরস্থানের উন্নয়ন, দোকান ও ঘরবাড়ির বন্ধ থাকা মিউটেশনের কাজ নতুন করে চালু করা সহ একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল বলেন, পুরসভা এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেলফ হেল্প গ্রুপের মহিলাদের নিয়ে ক্লাস্টার রয়েছে। এই ক্লাস্টারগুলি নিয়ে প্রতি ওয়ার্ডে এরিয়া লেভেল ফেডারেশন কমিটি তৈরি হয়েছে। এবার মিটিং করা, ট্রেনিংয়ের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে অফিস তৈরি করবে পুরসভা। প্রতি ওয়ার্ডে গড়ে ৩০-৪০টি গ্রুপ রয়েছে। করোনার সময় গ্রুপের মহিলারা রান্না করা খাবার হোম ডেলিভারি বা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন। এবার পুরসভা বিভিন্ন বাছাই করা সেলফ হেল্প গ্রুপকে নিয়ে প্রয়োজনভিত্তিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে। চেয়ারম্যান জানান, শহরের মহাশ্মশান ও শ্মশান, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কবরস্থানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে পুরসভা। এছাড়া হাসপাতালে মৃত শিশু সৎকারের জন্য দুর্গাচক সংলগ্ন রাধামাধবচকে বেহাল কবরস্থানের হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বোর্ড অব কাউন্সিলারদের বৈঠকে।
অভিযোগ, হলদিয়া পুরসভায় কাউন্সিলারদের একাংশের উন্নয়ন নিয়ে গয়ংগচ্ছ মনোভাব বিপাকে ফেলেছে পুর কর্তৃপক্ষকে। ফলে বেশকিছু ওয়ার্ডে উন্নয়ন থমকে রয়েছে বলে বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কাউন্সিলারদের একটি বড় অংশ নিয়মিত পুরসভায় আসেন না বলে অভিযোগ। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকরা। এজন্য এবার কড়া হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক কাউন্সিলারকে দ্রুত পাঁচটি করে উন্নয়ন প্রস্তাব জমা দিতে হবে। অর্থাৎ ২৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৪৫টি প্রস্তাব আসার কথা। পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করে উন্নয়ন করা হবে। তবে বড়সড় প্রস্তাব হলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাহায্য নেওয়া হবে। চলতি বাজেটের টাকায় ওই খরচ করা হবে। উন্নয়নের কাজে ওয়ার্ডগুলি পিছিয়ে পড়ার কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হল। তিনি জানান, প্রায় একবছর ধরে বাড়ি, দোকানঘর মিউটেশনের কাজ পুরসভায় বন্ধ ছিল। হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম ধরা পড়তেই একাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফের মিউটেশনের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান ভাইস চেয়ারম্যান।
No comments