আজ থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজদো-টানা কাটিয়ে সরস্বতী প্রতিমায় শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা
আজ থেকে ফের খুলছে স্কুলের দরজা।আবার শুরু হল অফলাইন পঠনপাঠন।একদিন পরেই শনিবার সরস্বতী পুজো।৩১ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্…
আজ থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজ
দো-টানা কাটিয়ে সরস্বতী প্রতিমায় শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা
আজ থেকে ফের খুলছে স্কুলের দরজা।আবার শুরু হল অফলাইন পঠনপাঠন।একদিন পরেই শনিবার সরস্বতী পুজো।৩১ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী,আজ বৃহস্পতিবার থেকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত অফলাইন পঠনপাঠন চলবে।পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য ‘পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়’ হবে।সরস্বতী পুজোর আগে আবার স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়ারা।প্রায় একমাস স্কুল,কলেজ বন্ধ থাকায় পুজো হবে কিনা ছাত্রছাত্রীদের মনে সংশয় ছিল।কিন্তু সরস্বতী পুজোর আগেই স্কুল-কলেজ খোলায় ফলে নতুন করে বাগদেবীর আরাধনার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন স্কুল কতৃপক্ষ।
অন্যদিকে চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি থেকে হঠাৎ করে বিধি নিষেধ লাগু হওয়ার সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ হাফ রাস্তাতেই বন্ধ ছিল।কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই নতুন করে প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগিয়েছিল মৃৎশিল্পীরা।আজ থেকে স্কুল,কলেজ খোলায় ছোট করে হলেও পুজো করতে চায় বিভিন্ন স্কুল,কলেজ।তাই নতুন করে প্রতিমা তৈরির বরাত পেয়ে রাত-দিন এক করে প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মৃৎশিল্পীরা।
হলদিয়ার চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীদের চোখে এখন ঘুম নেই।প্রতিমা রঙ করে সাজাতে ব্যস্ত বাড়ির সকলেই।এক দিন পরেই সরস্বতী পুজো।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে পুজোয় বৃষ্টির সম্ভবনা আছে।তাই আগেভাগেই প্রতিমা ছাড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সকলেই।হলদিয়ার সুতাহাটা,চৈতন্যপুর,কুকড়াহাটি,টাউনশিপ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মৃৎশিল্পী পাড়া রয়েছে।
এদের মধ্যে চৈতন্যপুর চিত্রকর পাড়ায় প্রায় তিরিশটি পরিবার এই পেশায় যুক্ত।সারাবছর ধরে ছাঁচের ও কাঠামো প্রতিমা তৈরি করে বাড়ির পুরুষ-মহিলা সকলেই।কিন্তু দুবছর ধরে কোভিডের জন্য পুজো-পার্বণ বন্ধ থাকায় টান পড়েছিল রুটি-রুজিতে।পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে নতুন করে তারা কাজে ফিরেছিল।কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করায় মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে সরস্বতী পুজোর আগে বিধি নিষেধ শিথিল হতে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা।বিক্রি বাটার আশায় শেষ মুহূর্তে তুলির টান দিতে ব্যস্ত মিলন,পঙ্কজ,গণেশ চিত্রকররা।
হলদিয়ার কুকড়াহাটি এলাকার হরিবল্লভপুর গ্ৰামের প্রবীণ মৃৎশিল্পী বারীন্দ্রনাথ খাঁড়া জানান এবছর ছোট-বড় মিলিয়ে খান কুড়ি প্রতিমা তৈরি করছেন।হঠাৎ করে স্কুল-কলেজ খোলার ফলে নতুন করে বরাত আসছে।কম সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরি করতে বাড়তি কারিগর এনে কাজ করছেন।
একই অবস্থা চিত্রকর পাড়ার।
বাগদেবীর চোখে শেষ তুলির টান দেওয়া হচ্ছে।পাড়ার বছর বাহান্নের মল্লিকা চিত্রকর বলেন পুজোয় বৃষ্টি ভ্রুকুটি আছে।আমরা বেশি ছাঁচের প্রতিমা তৈরি করি।পুজোর একদিন আগে থেকেই অর্থাৎ আজ থেকেই চৈতন্যপুর মোড়ে খোলা আকাশের তলায় বিক্রি করতে শুরু করেছে।কিন্তু বৃষ্টি হলে ক'টা ঠাকুর বিক্রি হবে তা এখনই বলতে পারছি না।
সরস্বতী প্রতিমা তৈরির স্কুল,কলেজ খোলায় পুজোর তোড়জোড় শুরু হলেও প্রকৃতির ওপর নির্ভর করবে পুজোর ভবিষ্যৎ এমনটাই মনে করছেন মৃৎশিল্পীরা।
No comments