প্রায় দু'বছর পর আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আগের মতো ক্লাসের বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করবে সমস্ত পড়ুয়ারা।প্রাথমিক স্তর থেকে পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে স্কুলএবার আর কোনও ক্লাসের ভাগাভাগি নয়। আগামী কাল প্রাথমিক স্তর থেকে পুরোপুরি খুলে য…
প্রায় দু'বছর পর আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আগের মতো ক্লাসের বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করবে সমস্ত পড়ুয়ারা।
প্রাথমিক স্তর থেকে পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে স্কুল
এবার আর কোনও ক্লাসের ভাগাভাগি নয়। আগামী কাল প্রাথমিক স্তর থেকে পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে স্কুল। নবান্নের নির্দেশিকা পেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে অবশ্য রোটেশনালি ক্লাস চালানোর কথা বলা নেই। শুধু স্কুলের পরিকাঠামো এবং লোকবল অনুযায়ী পঠনপাঠন শুরু করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, এ বিষয়ে স্কুলগুলি কিছুটা স্বাধীনতা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। হস্টেল খোলার বিষয়েও প্রধান শিক্ষক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য আপাতত স্কুল খুলছে না। পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প অবশ্য কাল থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকদের আজ, মঙ্গলবার থেকেই স্কুলে আসার কথা বলা হয়েছে।
প্রাক-প্রাথমিক স্তরে স্কুল না খুললেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খুলছে কালই। তবে সেখানে আপাতত পড়াশোনা শুরু হচ্ছে না। পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে শুধুমাত্র রান্না করা খাবার খাইয়ে ছুটি দেওয়া হবে শিশুদের। এদিকে, প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিল শুরু করে দিতে হবে বুধবারই। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি পালনের জন্য প্রত্যেক ক্লাসের পড়ুয়াদের আধ ঘণ্টা আগে স্কুলে যেতে বলা হয়েছে সরকার এবং পর্ষদের নির্দেশিকায়। প্রায় দু’বছর পর প্রাথমিক স্তর থেকে স্কুল খুলছে। আর এই ঘোষণাকে সমস্ত শিক্ষক সংগঠনই স্বাগত জানিয়েছে।
স্কুল খোলার পাশাপাশি শিথিল হচ্ছে বেশ কিছু কোভিড বিধিও। রাত ১১টার পরিবর্তে রাত ১২টা থেকে নৈশকালীন বিধি-নিষেধ কার্যকর হবে। ভোর ৫টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। এর ফলে রাতে দোকানপাট, রেস্তরাঁ বেশিক্ষণ খোলা রাখা যাবে। স্বাভাবিক হচ্ছে লোকাল ট্রেন চলাচলও। কোভিড পূর্ববর্তী টাইম টেবিলে ফিরছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে, রাত ১২টার পরে কোনও প্রান্তিক স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে না। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং দূরত্ববিধি মেনে চলার মতো সাধারণ নির্দেশিকাগুলি অবশ্য বলবৎ থাকছে। ছাড় দেওয়া হচ্ছে বিমানযাত্রাতেও। এখন দু’টি ডোজ টিকা এবং কোভিডের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট—যে কোনও একটি থাকলেই বিমানযাত্রা করা যাবে। কিছু দেশের যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক থাকবে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে যেখানে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট প্রয়োজন হতো, এখন তা নেমে দাঁড়াবে ৫ শতাংশে। বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে জীবন ও জীবিকা উভয়কে গুরুত্ব দিয়েই। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হতেই শিথিলতা বাড়ানোর নির্দেশ সেই নীতি মেনেই এগিয়েছে।
No comments