জেলায় পৌর নির্বাচনে পাখির চোখ বোর্ড গঠন তৃণমূলের !বিজেপির কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই
আজ, তমলুক, কাঁথি ও এগরা পুরসভায় তৃণমূলের লক্ষ্য তিনে তিন। অর্থাৎ তিন পুরসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফের পাঁচ বছরের জন্য বোর্ড গঠন করাই তৃণ…
জেলায় পৌর নির্বাচনে পাখির চোখ বোর্ড গঠন তৃণমূলের !বিজেপির কাছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই
আজ, তমলুক, কাঁথি ও এগরা পুরসভায় তৃণমূলের লক্ষ্য তিনে তিন। অর্থাৎ তিন পুরসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফের পাঁচ বছরের জন্য বোর্ড গঠন করাই তৃণমূলের অঙ্গীকার। যদিও বিজেপির কাছে আজকের ভোট অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। গত বছর বিধানসভা ভোটের পর এরাজ্যের সবকটি উপ নির্বাচন ও পুরসভা ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার অব্যাহত। বিরোধীরা কোথাও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের তিন পুরসভা নির্বাচনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। অপরদিকে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। মনোনয়ন থেকে প্রচারপর্ব সবটাই সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। কোথাও সেভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু, প্রার্থী বাছাই থেকে ভোটের রাশ নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির মধ্যে আদি-নব্য সংঘাত সামনে এসেছে। তাতে কর্মীরা আরও হতাশ হয়েছেন।
প্রায় এক বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তমলুক, কাঁথি এবং এগরা পুরসভা থেকে লিড নিয়েছিল বিজেপি। তিন পুরসভায় সিংহভাগ ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তাই এবার শাসক দলের কাছে সেই গ্লানি মুছে ফেলার সুযোগ বলে দলীয় কর্মীদের বক্তব্য। তমলুক পুরসভায় ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ভোটের প্রচার পর্বে সৌমেন মহাপাত্র সেই তথ্য মনে করিয়ে তমলুক পুরসভায় ২০-০ব্যবধানে জয়ের টার্গেট বেঁধে দেন। সেই গ্লানি মুছে ফেলার জন্য দলের কর্মীদের দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তমলুক পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে ২০জন জেলা পদাধিকারীকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিল বিজেপি। তাতেও জনসংযোগ থেকে প্রচার পর্বে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির।
আজ, সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে কাঁথি পুরসভার দিকে। টানা তিন দশক পর এবার অধিকারী পরিবারের কেউ পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হননি। যদিও অধিকারী পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য পুরসভা নির্বাচনের বিজেপির কনভেনার। অর্থাৎ সেনাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। কাঁথিতে বিজেপির আদি নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। পুরসভা ভোটে একগুচ্ছ দলবদলু নেতা প্রার্থী হওয়ায় পুরনো বিজেপি নেতা-কর্মীরা উপযুক্ত জবাব দিতে রেডি। ঘরে বাইরে বিজেপির উপর চাপ বেড়েছে। কাঁথি পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয় ধরে রাখলে গেরুয়া শিবিরের অস্তিত্ব সংকট হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথির ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ড থেকে লিড নিয়েছিল বিজেপি। এখন পিছিয়ে থাকার গ্লানি মোছার অপেক্ষায় তৃণমূল। অন্যদিকে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর মরিয়া লড়াইয়ে শামিল গেরুয়া শিবির।
এগরা পুরসভার মোট ১৪ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে। গত বছর বিধানসভা ভোটে ১১টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল বিজেপি। এবার শুরু থেকেই প্রচারে দাপট অব্যাহত রেখেছে জোড়াফুল। পুরসভায় জয় নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত তৃণমূল। তবে, তিন পুরসভাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের চোরাস্রোত বেশকিছু প্রার্থীকে উদ্বেগে রেখেছে। সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দুই জেলা কমিটি গঠনের পর এই প্রথম ভোট। তমলুক সাংগঠনিক জেলার অধীনে একটি এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অধীনে দু’টি পুরসভা নির্বাচন। উভয় জেলা নেতৃত্ব তিন পুরসভা বোর্ড ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
No comments