পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩৯৬ কোটি বরাদ্দ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, জোর গ্রামীণ পরিষেবায়পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩৯৬ কোটি বরাদ্দ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, জোর গ্রামীণ পরিষেবায়
২০২১-’২২ আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথ…
পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩৯৬ কোটি বরাদ্দ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, জোর গ্রামীণ পরিষেবায়
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩৯৬ কোটি
বরাদ্দ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, জোর গ্রামীণ পরিষেবায়
২০২১-’২২ আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তি বাবদ ৩৯৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা পেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ইতিমধ্যেই আইএসজিপি সেল থেকে বরাদ্দ টাকা জেলার ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনা খাতে (টায়েড গ্র্যান্ট) ৬০ শতাংশ অর্থ এবং পরিকল্পনা বর্হিভূত খাতে (আনটায়েড গ্র্যান্ট) বাকি ৪০ শতাংশ টাকা খরচ করা যাবে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি ওই টাকায় কাজের জন্য টেন্ডার শুরু করে দিয়েছে। অর্থ কমিশনের টাকা গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি, শৌচালয় থেকে যাবতীয় পরিকাঠামো নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অর্থ কমিশন থেকে ৫৭ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৩৬ টাকা পেয়েছে। এছাড়াও জেলার ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি ৫৯ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩১৪৭ টাকা পেয়েছে। ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আরও ২৭৮ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮৯ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ১০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের আয়তন এবং জনসংখ্যার নিরিখে বরাদ্দের পরিমাণ কম-বেশি হয়েছে। যেমন, পাঁশকুড়া ব্লকের মাইসোরা পঞ্চায়েত ৩০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা পেয়েছে। আবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছে। ময়না ব্লকের বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত ৩০ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা পেয়েছে। ওই ব্লকের নৈছনপুর পঞ্চায়েত ১২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা পেয়েছে। পরিকল্পনা খাতে ৬০ শতাংশ খরচ করতে হবে। তারমধ্যে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের কাজে পরিকল্পনা খাতের টাকা খরচ করতে হবে। টায়েড গ্র্যান্টের টাকায় অন্য কোনও কাজ করা যাবে না। আবার, আন টায়েড গ্র্যান্টের টাকা রাস্তাঘাট, কালভার্ট থেকে ক্লাসরুম, নিকাশি সহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। কর্মচারীদের মাইনে, অফিসে ব্যবহৃত গাড়ির বিল মেটানো এবং গাড়ি কেনা যাবে না। এর বাইরে উন্নয়নের সব ধরনের কাজ করা যাবে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বণ্টন করার সময় টাকা খরচ করার নিয়ম লিখিতভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২০-’২১ সাল থেকেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশন শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওই কমিশন থাকবে। প্রতি বছর গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির কাজে অর্থ কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করা হয়। একশো দিনের কাজ বাদে অর্থ কমিশন থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ পায় গ্রাম পঞ্চায়েত। দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে আবারও সমপরিমাণ টাকা পাবে ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত। ভগবানপুর-১ ব্লকের বিভীষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরূপসুন্দর পণ্ডা বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় আমরা বেশকিছু কাজের টেন্ডার ডেকেছি। এর মধ্যে ঢালাই রাস্তা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের স্কিম রয়েছে। তাছাড়া গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেলে আমরা পঞ্চায়েতজুড়ে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন বসাব। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরা বলেন, আমরা সাবমার্সিবল পাম্প এবং বেশকিছু জায়গায় শৌচালয়ের কাজ হাতে নিয়েছি। আনটায়েড গ্র্যান্টের টাকায় ঢালাই রাস্তা, ড্রেনের কাজের টেন্ডার হয়েছে। বেশকিছু কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
No comments