করোনা টিকা এবার খোলা বাজারেও কোভিশিল্ড-কোভ্যাকসিনের দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা
উঠে গেল নিয়ন্ত্রিত ‘ইমার্জেন্সি ইউজ’ বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের বিধি-নিয়মের কড়াকড়ি। এবার খোলা বাজারে করোনা ভ্যাকসিন বিক্রির স্বাধীনতা পেল প্রস্তুতকারক স…
করোনা টিকা এবার খোলা বাজারেও কোভিশিল্ড-কোভ্যাকসিনের দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা
উঠে গেল নিয়ন্ত্রিত ‘ইমার্জেন্সি ইউজ’ বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের বিধি-নিয়মের কড়াকড়ি। এবার খোলা বাজারে করোনা ভ্যাকসিন বিক্রির স্বাধীনতা পেল প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি। যদিও শর্তসাপেক্ষে। শুধু তাই নয়, কমে যেতে পারে টিকার দামও। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালগুলি প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য যে টাকা নেয়, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দামে মিলবে খোলা বাজারে। এব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। এমনকী, ২৭৫ টাকায় বাজারে ভ্যাকসিন ডোজ মিলবে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। তবে ১৮ অনূর্ধ্বদের এই টিকা দেওয়া যাবে না। আবার সরকারি টিকাকেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচিও পাশাপাশি চলবে।
বৃহস্পতিবারই ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাকসিন’ এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’কে ‘কন্ডিশনাল মার্কেট অথরাইজেশন’ ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। শর্ত হল, এক্ষেত্রেও কো-উইন প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্তি বাধ্যতামূলক। এছাড়া টিকাকরণ পরবর্তী নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। এখন টিকা প্রস্তুতকারককে প্রতি ১৫ দিন অন্তর ভ্যাকসিনের প্রভাব (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা গুণাগুণ) সম্পর্কে কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা করতে হয়। নতুন ছাড়পত্র অনুযায়ী তা ছ’মাস অন্তর করলেই চলবে। সূত্রের খবর, দু’টি কোম্পানির সঙ্গে দাম নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষে যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, দাম ঠিক হয়নি।
বেসরকারি হাসপাতালে এখন কোভিশিল্ডের জন্য ডোজ পিছু দিতে হয় ৭৮০ টাকা। কোভ্যাকসিন মেলে ১,৪১০ টাকায়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ জিএসটি এবং টিকা দেওয়ার পারিশ্রমিক হিসেবে ১৫০ টাকা ধরা থাকে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার সংস্থাগুলির থেকে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন কেনে গড়ে ২০৫ টাকা দরে। কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ভ্যাকসিনের দাম সস্তা হবে। ভবিষ্যতে সরকারি কোভিড টিকা কর্মসূচি শেষ হলেও যাতে কোনও নাগরিক চাইলে প্রতি বছর এটি নিতে পারেন, তারই লক্ষ্যে ডিসিজিআইয়ের এই ছাড়পত্র বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও যে কোনও ওষুধের দোকানে করোনা টিকা মিলবে না। কারণ, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকই টিকা কিনবে। এতদিন রাজ্য সরকারকে জানিয়েই ডোজ কিনত প্রাইভেট হাসপাতালগুলি। এখন ডিস্ট্রিবিউটারের মাধ্যমে সরাসরি কোম্পানির থেকেই তা কেনা যাবে।
No comments