সরস্বতী পুজো ঘিরে খুশির খাওয়া গ্ৰামজুড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা,হলদিয়া:- শিল্প শহর হলদিয়া লাগোয়া দেভোগের কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের একদল তরুণ বাগদেবীর আরাধনা মেতে উঠল।পুজো কে ঘিরে দু'দিন ধরে চললো গ্ৰামের কচি-কাঁচাদের নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা…
সরস্বতী পুজো ঘিরে খুশির খাওয়া গ্ৰামজুড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা,হলদিয়া:- শিল্প শহর হলদিয়া লাগোয়া দেভোগের কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের একদল তরুণ বাগদেবীর আরাধনা মেতে উঠল।পুজো কে ঘিরে দু'দিন ধরে চললো গ্ৰামের কচি-কাঁচাদের নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বছর কয়েক কয়েকজন স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের উদ্যোগে গড়ে ওঠে হ্যাপি ক্লাব নামক একটি সংস্থা।এখন তাদের অনেকেই কারখানার শ্রমিক।
কিন্তু প্রত্যেকবছর পুজো এলেই নিজেরাই মন্ডপ তৈরি করে পুজো করে।
শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যার পর আবহাওয়ার উন্নতি হতেই রাগ জেগে চলে মন্ডপ সাজানোর কাজ।গোটা এলাকা আলোক মালায় সেজে উঠে।
শনিবার সকালে পুজোর পর গ্ৰামের কচিকাঁচারা মায়ের কাছে অঞ্জলি দেয়।তারপর তাদের পাতপেড়ে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়।রবিবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত চলে অঙ্কন,বিস্কুট দৌড়,মুরগী লড়াই সহ একের পর এক ছোটদের খেলাধুলা।
সন্ধ্যায় তাদের হাতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
রাত পোহালেই সোমবার ছোটদের কাছে এক স্বপ্নের দিন।
গত ৩১ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেনী পযর্ন্ত "পাড়ায় পাড়ায় বিদ্যালয়"-এর সূচনা হবে।প্রায় দু'বছর পর ছেলে-মেয়েরা স্কুল ড্রেস পরবে।কোভিডের জন্য দু'বছর ধরে গ্ৰামে ছোট করে পুজো-পার্বণ হলেও,তেমন খেলাধূলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি।চার দেওয়ালে বন্দি থেকে কার্যত একাকীত্ব বোধ করছিল তারা।এদিন পাড়ায় ফের ক্রিয়া অনুষ্ঠান শুরু হতেই ছেলেমেয়েদের চোখে মুখে ধরা পড়লো বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি।
মুক্তির স্বাদ পেয়ে দিনভর আনন্দে মাতোহারা হল নান্টু,বিট্টুরা।
ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি এখনো কাটেনি।অনেকেই আবার কোভিডের টিকা এখনো পায়নি।তাই বড় কোন অনুষ্ঠান করতে পারিনি।যদিও এলাকার প্রবীণ মানুষরা মনে করছে একদল উঠতি তরুণদের এই আয়োজন রীতিমতো প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
No comments