হার মানা হার" শান্তালতা বিষয়ই সাহা
আর্যপুরুষ করো না অহংকার আভিজাত্যের দম্ভ কেন তোমার?বনস্পতিরা সবে মিলি বন্দিছেতুমি একা বীর রাজাধিরাজের সাজে। ফাগুনে যখন আগুন লেগেছে বনে নবপল্লবে সেজেছে বনানী যত, …
হার মানা হার" শান্তালতা বিষয়ই সাহা
আর্যপুরুষ করো না অহংকার
আভিজাত্যের দম্ভ কেন তোমার?
বনস্পতিরা সবে মিলি বন্দিছে
তুমি একা বীর রাজাধিরাজের সাজে।
ফাগুনে যখন আগুন লেগেছে বনে
নবপল্লবে সেজেছে বনানী যত,
ফুলে ফুলে ভরা শাখামঞ্জরীগুলি
শিহরিত প্রাণে দুলিছে দোদুল ছন্দে।
যুবতী ললনা খোঁপায় তীব্র লাল
রূপে ও লাস্যে একি তব মধুরিমা!
বসন্তে তুমি একাই রাজেন্দ্রানী
আর্য পুরুষে আসক্তি নেই তার।
পত্রে পুষ্পে বসন্ত সমাগমে
সাজায় নিজেকে অপরূপ মোহে লাজে
ব্যস্ত সদাই ফুল ফোটানোর কাজে।
আর্যপুরুষ চেয়ে দেখে বার বার
রূপ দেখে তার দু'চোখে তৃষ্ণা জাগে,
সাঁওতালী মেয়ে অভিমানী বড় বেশী
বিকোবে না কভু কোনদিন কারও কাছে।
আর্যপুরুষে নেই তার অধিকার
হও বন্ধু, নও তুমি প্রতিবেশী।
অর্জুন তুমি বাকল ঝরাতে জানো
কৃষ্ণচূড়া রক্ত ঝরাতে জানে।
অর্জুন ভাবে আর্যপুরুষ সে যে
শ্রেষ্ঠত্বের অধিকার শুধু তারই।
দাম্ভিক তুমি আর্যপুরুষ,
ভাব তুমি ক্ষণে ক্ষণে
সব সুন্দরে একা তব অধিকার!
সাঁওতালি মেয়ে যৌবন মদে মত্তা,
রূপে লাবণ্যে বাসন্তিকা সনে
রক্তিমাভায় বসনাঞ্চল জুড়ে
আবির ছড়ায়ে দিয়েছে অহংকারে।
অর্জুন তবু দেখে তাকে বার বার,
কৃষ্ণচূড়া, তুমি তো রাজেন্দ্রানী
হৃদয়ের খোঁজ পাব না কি কভু আমি?
একদিন শেষে সব অভিমান ভুলে,
দু'চোখ ধাঁধানো অপরূপ রূপ মোহে
কাছে এসে বলে, হে মোর রানী
হার মানি আমি তব রূপসম্ভারে।।
---------------------
No comments