সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর ;মেলা দেখতে যাওয়ায় ‘না’, বলায় অভিমানে আত্মঘাতী মেলা দেখতে যাওয়ার আবদার করেছিল একমাত্র মেয়ে। কিন্তু সেই আবদার মেনে নেয়নি বাবা-মা। যার জেরে বাবা-মেয়ের উপর রাগ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণির…
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর ;মেলা দেখতে যাওয়ায় ‘না’, বলায় অভিমানে আত্মঘাতী
মেলা দেখতে যাওয়ার আবদার করেছিল একমাত্র মেয়ে। কিন্তু সেই আবদার মেনে নেয়নি বাবা-মা। যার জেরে বাবা-মেয়ের উপর রাগ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার পাইপভেড়ি গ্রামে।
বিশেষ সূত্রে,জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সুস্মিতা চিনি (১৩)। সোমবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরে কৃষি মেলা দেখার জন্য বাবা মার কাছে আবদার করে ওই নাবালিকা মেয়ে। কিন্তু যে হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তার জন্য মেলায় যেতে বারণ করেন বাবা-মা। সেই অভিমানেই সোমবার রাতে বাড়ির বারান্দায় নিজের ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সুস্মিতা।মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সুস্মিতাকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ভগবানপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।মৃত ছাত্রীর বাবা রতন চিনি বলেন, “এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটবে তিনি ভাবতে পারেননি। এরকম জানলে হয়তো মেয়েকে মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য বারণ করতাম না। ঘটনার পর রীতিমত বাকরুদ্ধ পরিবারের বাকি সদস্যরা।”ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, “মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কি কারণে ওই নাবালিকা আত্মঘাতী হল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অস্বাভিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।
No comments