হলদিয়ায় শ্রমিকদের দাবি নিয়ে দোদুল্যমানতা ভুগছে শ্রমিক
হলদিয়া দূর্গাচকে এক্সাইড ব্যাটারি তৈরির কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ। বিশেষত ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের একাংশ কারখানার মধ্যে কর্মবিরতি পালন করছিল। শ্রমিকদের দাবি ছিল তাদের COD সম্পন্ন…
হলদিয়ায় শ্রমিকদের দাবি নিয়ে দোদুল্যমানতা ভুগছে শ্রমিক
হলদিয়া দূর্গাচকে এক্সাইড ব্যাটারি তৈরির কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ। বিশেষত ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের একাংশ কারখানার মধ্যে কর্মবিরতি পালন করছিল। শ্রমিকদের দাবি ছিল তাদের COD সম্পন্ন হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তাপস মাইতি বলেন কারখানার চার্টার্ড সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবেন না তাদের কাছে অধরা। তাছাড়া আরও বলেন ম্যানেজমেন্ট COD বিষয়ে তাদেরকে কোন কিছু কাগজ দেখায়নি।
আবার কারখানার ক্যাজুয়াল শ্রমিকের বেশকিছু শ্রমিক দাবি করেন তাদের চাটার ঠিকমতো হয়েছে ।এবং সম্পন্ন হয়েছে তাদের কোনো দাবিদাওয়া নেই। হলদিয়ায় শ্রমিকদের দাবি নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত। কারখানার চার্টার্ড ডিমান ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মধ্য দিয়ে হয়। ইউনিয়নের নেতৃত্ব কারখানার আধিকারিক এবং লেবার কমিশনের অফিসারের উপস্থিতিতে। কিন্তু এখানে শ্রমিকদের নেতৃত্ব জানেনা কেবলমাত্র শ্রমিক এবং কারখানার আধিকারিকদের নিয়ে তাদের চুক্তি হয়েছে বলে বললেন। তাহলে অন্যান্য শ্রমিকরা সিওডি বা চার্টার্ড ডিমানের জন্য কেন আন্দোলন করছেন? তাহলে কি আইএনটিটিইউসি বা অন্য কোনো শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে বাইরে তারা এই চুক্তি সম্পন্ন করলেন। বা জেলায় শাসকদলের যে সংগঠন রয়েছেন সেই সংগঠন জানতে পারলেন না। কারখানার শ্রমিকরা তাহলে কি অন্য কোন সংগঠন করছেন। যেখানে এক্সাইড ব্যাটারি কারখানা অন্যান্য শ্রমিকদের বাদ দিয়ে কতিপয় শ্রমিক তাদের চার্টার্ড ডিমান করালেন কর্তৃপক্ষকে। তাহলেই কি সিওডি এই চুক্তির ফলে কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে দোদুল্যমানতা ভুগতে হবে? তবে ভারতীয় জনতা পার্টির বিএমএস রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলী বললেন শাসক দলের প্রতি হলদিয়ার শ্রমিক ভরসা করতে পারছে না। জেলা শ্রমিক সংগঠনের কে নেতা এখনও চিহ্নিত করতে পারলেন না । শাসক দলের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস কে সামনে রেখে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর একই কারখানার সামনে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছেন। সংগঠনের নেতৃত্ব দেন নিজেরাই গেট দখলে লড়াইয়ের জন্য আজ শ্রমিকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। শ্রমিকরা দ্বিধাগ্রস্ত দোদুল্যমানতা ভুগছেন।
No comments